আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে বিভ্রান্তিকর গুঞ্জন ছড়িয়েছিল আগেই। দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে থাকার পর ক্রমাগত ক্ষীণ হচ্ছিলো টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর থাকার সম্ভাবনা। যাবতীয় প্রশ্নের জবাবে ব্যাটে দিলেন বিরাট। সোমবার ঘরের মাঠে রাজকীয় ব্যাটিংয়ে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রত্যাবর্তন ঘটলো কিং কোহলির। তাঁর ব্যাটেই জয়ের পথ প্রশস্ত হয়েছিল দলের। পরবর্তীতে দীনেশ কার্তিকের ক্যামিওতে প্রথম জয় চলে এলো আরসিবির। ৪৯ বলে ৭৭ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে ক্রিকেটবিশ্বকে বার্তা দিলেন, এখনো তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে কিছু দেওয়ার রয়েছে। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে খানিক কটাক্ষের সুরেই বিরাট হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমি জানি এখন আমার নাম বিশ্বের অন্য প্রান্তে ক্রিকেটের প্রচারের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে এখনো আমার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিছু দেওয়া বাকি আছে।’ সোমবার ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যের ফাঁকে প্রাক্তন ইংল্যান্ড তারকা কেভিন পিটারসেন বলেছিলেন, ‘ এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমেরিকায় হবে। ভারত পাকিস্তান ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে নিউ ইয়র্কে। এখানকার ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য অবশ্যই বিরাট কোহলিকে খেলানো উচিত।’ পাল্টা যুক্তি প্রদর্শন করেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী। যাকে একসময় ‘রবি ভাই’ বলে সম্বোধন করতেন বিরাট। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটের উন্নয়নের প্রচারের জন্য কাউকে দলে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। জেতার জন্য দলকে খেলতে হবে। ক্রিকেট নিজের মতো করেই প্রসারিত হয়। কোন বোঝাকে দলে কখনোই রাখা উচিত নয়। একথা মনে রাখা উচিত, ২০০৭ সালে তরুণদের নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত।’
ম্যাচের পর কোহলি বলেন, ‘ আপনি যখন খেলবেন তখন লোক আপনার সাফল্য, পরিসংখ্যান ও নানা ধরনের সংখ্যা তুলে ধরে আলোচনা করতেই থাকবে। কিন্তু আমার কাছে সেই বিষয়গুলোর কোনও মূল্যই নেই। যখন আপনি পিছন ফিরে তাকাবেন মনে পড়বে দর্শকদের স্মৃতিতে কতটা উজ্জ্বল হয়ে আপনি থেকেছেন। যে ভালোবাসা এখনো অবধি পেয়েছি তা এক কথায় অকল্পনীয়।’ দীর্ঘ দুমাস পরে কোহলির এই কামব্যাক দেখে বিস্মিত ক্রিকেটমহল। কেভিন পিটারসেন কোহলির এই ফিটনেস প্রসঙ্গে বলেন, ‘ কোহলি কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের পুরোদস্তুর অ্যাথলেট বানিয়ে দিয়েছে। ও কিন্তু শুধু মুখের কথায় সেটা করে দেখায়নি। নিজে ওদের সামনে একটা দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।’ মাঠের বাইরে এতদিন থাকা প্রসঙ্গে কোহলি বলেন, ‘ এটাই তো স্বাভাবিক জীবন। সম্প্রতি অনেকটা সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছি। দেশেও ছিলাম না দীর্ঘদিন। যেখানে আমরা ছিলাম সেখানে আমাকে তেমন কেউ চিনতই না। সবাই একসঙ্গে থাকতে পারা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। এই সুযোগ পাওয়ার জন্য ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।’ দ্বিতীয়বার পিতা হওয়ার পরই মাঠে ফিরে নিজের চেনা ফর্ম দেখিয়েছেন কোহলি। এবার নির্বাচকরা বিশ্বকাপের আগে কি সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই এখন দেখার।
The post ‘তবে এখনও মনে হয় আমার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে কিছু দেওয়ার বাকি আছে’, কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বিরাট কোহলি appeared first on CricTracker Bengali.