Sunil Gavaskar. (Photo by PUNIT PARANJPE/AFP via Getty Images)
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ২০২৩-এ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে ভারত। ডাব্লুউটিসির ফাইনালে খেলার ব্যাপারে একটু চাপে ছিল ভারত। কারণ ভারত যদি শেষ টেস্ট ম্যাচটি জিততে না পারে এবং শ্রীলঙ্কা যদি দুটি টেস্টেই নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করে দেয় তাহলে ভারতীয় দলের ডাব্লুউটিসির ফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে যেত। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আহমেদাবাদ টেস্ট ড্র করলেও নিউজিল্যান্ড শ্রীলঙ্কাকে প্ৰথম টেস্টে ২ উইকেটে পরাজিত করায় ভারতের ডাব্লুউটিসির ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা একেবারে পরিস্কার হয়ে যায়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্ট ৯ উইকেটে জিতে নিয়ে প্ৰথম দল হিসেবে ডাব্লুউটিসির ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কা প্ৰথম টেস্টে হেরে যাওয়ায় ভারত প্ৰথম দল হিসেবে টানা দুবার ডাব্লুউটিসির ফাইনালে গেল।
ঋষভ পন্থ চোটের কারণে বাইরে থাকায় কেএস ভরত উইকেটরক্ষক হিসেবে ভারতীয় দলে খেলার সুযোগ পায়। কিন্তু বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে ব্যাট হাতে তিনি খুব একটা সফল হননি। উইকেটরক্ষক হিসেবেও যে সব পিচে বল বেশি ঘুরেছে সেইসব পিচে তাকে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে।
স্পোর্টস তককে সুনীল গাভাস্কার বলেন, “আপনি কেএল রাহুলকে একজন উইকেটরক্ষক হিসেবে দেখতে পারেন। ওভালে (ডব্লিউটিসি ফাইনালে) সে যদি ৫ বা ৬ নম্বরে ব্যাট করে তাহলে আমাদের ব্যাটিং আরও শক্তিশালী হবে। কারণ গত বছর ইংল্যান্ডে তিনি সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছিলেন। তিনি লর্ডসে শতরানও করেছিলেন। ডব্লিউটিসি ফাইনালের জন্য যখন আপনি আপনার একাদশ বাছাই করবেন তখন কেএল রাহুলকে মনে রাখবেন।”
দীনেশ কার্তিকের মন্তব্যকে সমর্থন করলেন সুনীল গাভাস্কার
দীনেশ কার্তিক কেএস ভরতের উইকেটরক্ষণ নিয়ে ধারাভাষ্যের সময় যে মন্তব্যটি করেছিলেন সেটিকে সমর্থন জানিয়েছেন সুনীল গাভাস্কার।
তিনি বলেন, “দীনেশ কার্তিক তার (কেএস ভরত) উইকেটরক্ষণের সমস্যাগুলোকে বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন (ধারাভাষ্যের সময়)। একজন উইকেটরক্ষকের আসল পরীক্ষা হয় এই ধরনের পিচে যেখানে বল ঘুরছে। আপনি যদি ট্রাভিস হেডের আউটের দিকে তাকান, যখন বল ঘুরে তার স্টাম্পে আঘাত করে কেএস ভরতের গ্লাভস বলটির কাছাকাছি কোথাও ছিল না। তার মানে বলটি যদি স্টাম্পে না লাগত তাহলে ৪ বাই হত। এটি অবশ্যই উদ্বেগের কারণ। তারা তাকে একাদশে নির্বাচন করবেন কিনা সেটা নির্বাচক কমিটির উপর কিন্তু ইংল্যান্ডে আপনি এমন পিচ পাবেন না যেখানে রক্ষককে স্ট্যাম্পের কাছাকাছি দাঁড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে আপনি কেএল রাহুলকে উইকেটরক্ষক হিসেবে নিতে পারেন এমনকি ইশান কিষানকেও বিবেচনা করা যেতে পারে। তাদের ব্যাটিং ভরতের চেয়ে ভালো।”