২রা সেপ্টেম্বর, শনিবার, পাল্লেকেলেতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ ২০২৩-এ নিজেদের যাত্রা শুরু করবে ভারত। এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনার পারদ ইতিমধ্যেই তুঙ্গে চড়ে গেছে। পাকিস্তান এইবারের এশিয়া কাপে জয় দিয়ে নিজেদের যাত্রা শুরু করেছে। উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে খুব সহজেই জয় পেয়েছিল বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন দল।
ভারত এবং পাকিস্তান এশিয়া কাপে এখনও পর্যন্ত ১২ বার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী সংস্করণে পাকিস্তানকে ৫৪ রানে পরাজিত করেছিল ভারত। সেই থেকে আজ অবধি এশিয়া কাপের মঞ্চে এই প্রতিদ্বন্ধিতা চলছে।
এখন এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারত বনাম পাকিস্তানের সেরা পাঁচটি ম্যাচ দেখে নেওয়া যাক –
৫. এশিয়া কাপ ২০১৪, পাকিস্তান ১ উইকেটে জয়ী – মিরপুর
Shahid Afriid. (Photo Source: Twitter)
ভারত প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৫ রান তুলেছিল। রোহিত শর্মা ৫৮ বলে ৫৬ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন। অন্যদিকে, আম্বাতি রায়ডু এবং রবীন্দ্র জাদেজা যথাক্রমে ৬২ বলে ৫৮ রান এবং ৪৯ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেছিল। সৈয়দ আজমল ১০ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের ১০ রান প্রয়োজন ছিল। শাহিদ আফ্রিদি রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে পরপর দুটি ছয় মেরে ২ বল বাকি থাকতেই পাকিস্তানকে ম্যাচটি জিতিয়ে দিয়েছিলেন। শেষ ওভারের প্ৰথম বলে সৈয়দ আজমলকে আউট করে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন অশ্বিন। কিন্তু শেষমেশ ভারত ম্যাচটি জিততে পারেনি।
৪. এশিয়া কাপ ২০১০, ভারত ৩ উইকেটে জয়ী – ডাম্বুলা
Harbhjan Singh. (Photo Source: Twitter)
পাকিস্তান প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ২৬৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। সালমান বাট ৮৫ বলে ৭৪ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন। কামরান আকমল ৪১ বলে ৫১ রান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রবীণ কুমার ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন।
ভারত ৪৯.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ২৭১ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল। জয়ের জন্য ভারতীয় দলকে শেষ ৪ বলে ৬ রান করতে হত। প্রবীণ কুমার চতুর্থ বলে ২ রান নেন এবং তার পরের বলে ১ রান নেন। এরপর মহম্মদ আমিরের বলে ছয় মেরে ভারতকে ম্যাচটি জিতিয়ে দেন হরভজন সিং।
৩. এশিয়া কাপ ২০১২, ভারত ছয় উইকেটে জয়ী – মিরপুর
Virat Kohli. (Photo Source: Twitter)
পাকিস্তান স্কোরবোর্ডে পাহাড় সমান রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল। তারা ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩২৯ রান করেছিল। পাকিস্তানের দুই ওপেনার মহম্মদ হাফিজ এবং নাসির জামশেদ শতরান করেছিলেন। এছাড়াও ইউনিস খান ভালো রান পেয়েছিলেন।
ভারত এই ম্যাচে বিরাট কোহলির অনবদ্য ইনিংসের হাত ধরে জয় পেয়েছিল। তিনি ২২টি চার এবং ১টি ছয় সহ মাত্র ১৪৮ বলে ১৮৩ রান করেছিলেন। ১৩ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল ভারত।
২. এশিয়া কাপ ২০০৪, পাকিস্তান ৫৯ রানে জয়ী – কলম্বো
Shoaib Malik. (Photo Source: Twitter)
পাকিস্তান এই ম্যাচটিতে একটি দারুণ জয় পেয়েছিল। কিন্তু ভারত তাদের বোনাস পয়েন্ট পেতে দেয়নি। ৬০ বা এর অধিক রানে জয় পেলে বোনাস হিসেবে ১ পয়েন্ট পেত পাকিস্তান। কিন্তু শেষ দুই বলে দুই রান করে ভারত। যার ফলে ৫৯ রানে জয় পায় পাকিস্তান।
পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩০০ রান করেছিল। শোয়েব মালিক ১২৭ বলে ১৪৩ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন। ভারত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪১ রান করতে সক্ষম হয়েছিল। সচিন তেন্ডুলকার ১০৩ বলে ৭৮ রানের একটি সুন্দর ইনিংস খেলেছিলেন।
১. এশিয়া কাপ ২০০৮, ভারত ৬ উইকেটে জয়ী – করাচি
Virender Sehwag. (Photo Source: Twitter)
প্ৰথমে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৯৯ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিল পাকিস্তান। শোয়েব মালিক ১৬টি চার এবং ১টি ছয় সহ ১১৯ বলে ১২৫ রান করেছিলেন। ইউনিস খানও ভালো রান পেয়েছিলেন।
ভারত এই ম্যাচটিতে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রদর্শন করেছিল। বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ৯৫ বলে ১১৯ রানের একটি ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। সুরেশ রায়নার ব্যাট থেকে ৬৯ বলে ৮৪ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস এসেছিল। ভারত মাত্র ৪২.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩০১ রানে পৌঁছে ম্যাচটি জিতে নিয়েছিল।
The post এশিয়া কাপ: বিরাট কোহলির ১৮৩ থেকে শুরু করে হরভজন সিংয়ের ছয় মেরে ম্যাচ জেতানো – সেরা পাঁচটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ appeared first on CricTracker Bengali.