Chennai Super Kings. (Image Source: IPL/BCCI)
আইপিএল ২০২১-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরের মরসুমে চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে) ব্যর্থ অভিযানের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। গত বছর লিগ পর্বে শেষ ম্যাচে হেরে নবম স্থানে ছিল সিএসকে। তাদের পরে ছিল কেবল মাত্র মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ২০২২ মরসুম জুড়ে নানা বিতর্কে জড়িয়েছিল সিএসকে। গত বছর মেগা-নিলামের পরে সিএসকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রবীন্দ্র জাডেজাকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার। তবে তা ফলপ্রসূ হয়নি এবং মরসুমের মাঝপথেই জাডেজাকে সরিয়ে এমএস ধোনিকে অধিনায়ক নির্বাচন করা হয়েছিল।
২০২২-এর মরসুমের শেষে দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি জানিয়েছিলেন এই ব্যর্থতা ভুলে পরের বার সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে চান তাঁরা। গত বছরের ব্যর্থতার পরেও সিএসকে সমর্থকদের পক্ষ থেকে সমর্থনের অভাব হয়নি। ঘরের মাঠে চেপকে তো বটেই, অ্যাওয়ে ম্যাচগুলিতেও সিএসকের জন্য প্রবল সমর্থন দেখা গেছে।
সমর্থকদের জন্য ভালো মানের ক্রিকেট উপহার দিলেন ধোনিরাও। কাইল জেমিসনের মতো পেসার মরসুমের শুরুতেই চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ার পরেও, সিএসকে ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ঘরের মাঠে স্পিন সহায়ক পিচে তিন স্পিনার নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে আনক্যাপড ভারতীয় পেসার তুষার দেশপান্ডে ও আকাশ সিংয়ের উপরেও ভরসা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সর্বাধিক আইপিএল শিরোপা জয়ের রেকর্ডে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংস
ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স বজায় রেখে প্রথম দুইয়ে থেকে প্লে-অফে উঠেছিল ইয়েলো আর্মি। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা গুজরাত টাইটান্সকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল প্রথম সুযোগেই। বাকী ছিল শুধু ফাইনাল।
তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফাইনালে টাইটান্সকে হারিয়ে পঞ্চম বারের জন্য ট্রফি জিতে সিএসকে সর্বাধিক আইপিএল শিরোপা জয়ের রেকর্ডে একাসনে বসল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে। চেন্নাইয়ের এমন রূপান্তরের পিছনে অন্যতম কৃতিত্ব তাদের অধিনায়কের। ব্যাট হাতে বিশেষ পারফর্ম্যান্স না দেখালেও সিএসকে অধিনায়ক ধোনি তাঁর খেলোয়াড়দের পরিচালনা করেছেন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে।
১৬ কোটি টাকা দিয়ে কেনা বেন স্টোকস দুই ম্যাচ খেলেই চোট পেয়ে একাদশের বাইরে চলে যান। সেই শূন্যতা পূরণ করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল আজিঙ্ক্যা রাহানেকে। পুরো মরসুমের শেষে ৩০০-র বেশী রান ও ১৭০-এর বেশী স্ট্রাইক রেট রাখা তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে আইপিএল ২০২৩ শেষ করেছেন রাহানে। অসামান্য পারফর্ম করেছেন শিবম দুবেও। ৩৫টি ছক্কা হাঁকিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বাধিক সিক্স-হিটার দুবে।
বোলিংয়ের ক্ষেত্রে তুষার দেশপান্ডে শুরুর দিকে নজর কেড়েছিলেন। এক সময়ে তাঁর কাছে পার্পল ক্যাপও ছিল। শ্রীলঙ্কার তরুণ পেসার মাথিশা পাথিরানা হয়ে উঠেছিলেন ডেথ ওভার বিশেষজ্ঞ। কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির উপরে নির্ভরশীল না থেকে, দলগত পারফর্ম্যান্সের সৌজন্যেই পয়েন্ট তালিকার নীচ থেকে এক বছরের মধ্যেই শিখরে স্থান করে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।
The post আগের মরসুমে নবম স্থান থেকে কীভাবে সম্ভব হল এক বছরের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়া appeared first on CricTracker Bengali.