মাঠে নামলেই কোন না কোন রেকর্ড যেন গড়েই ফেলেন ফুটবল বিশ্বের রেকর্ড গড়ার কারিগর লিওনেল মেসি। তার প্রতিটি ম্যাচ যেন এক একটি নতুন রেকর্ড গড়ার জন্যই প্রস্তুত থাকে। ৪ ডিসেম্বর কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে খেলতে নেমে জীবনের ১০০০ তম ম্যাচ খেলে ফেললেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। একই দিনে দুটি ব্যক্তিগত রেকর্ডের নজিরও গড়ে ফেললেন এই ক্ষুদে জাদুকর।
শনিবার রাউন্ড অফ সিক্সটিনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নামে মেসিবাহিনী। সেখানে মেসি খেলার প্রথমার্ধে সুযোগ পেয়েই বল জড়িয়ে দেন প্রতিপক্ষের জালে। অস্ট্রেলিয়ার তিনজন ডিফেন্ডারের চোখে ধুলো দিয়ে নীচু শটে দিয়ে দেন গোল। দলকে নিয়ে যান কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। আর খেলতে নেমে এটিই নকআউট পর্বে মেসির প্রথম গোল।
সেইসঙ্গে বিশ্বকাপের ইতিহাসে আরও একবার ইতিহাস রচনা করলেন এই গোল মেশিন। বিশ্বকাপে গোল সংখ্যার বিচারে তিনি টপকে গেলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনাকে। ২১ ম্যাচে ম্যারাডোনার গোল সংখ্যা ছিল ৮ টি। মেসি তাকে ছাড়িয়ে গোল করলেন ৯ টি। এর আগে নকআউট পর্বে গোলের দেখা পাননি তিনি। গ্রুপ পর্বের ৮টি গোল এবং নকআউট পর্বের প্রথম গোলের মাধ্যমে নতুন রেকর্ড গড়ে ফেললেন মেসি।
ঠিক ১৮ বছর ৪৮ দিন আগে বার্সেলোনার হয়ে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে প্রবেশ করে প্রথম ম্যাচ খেলেন মেসি। আর চলতি বিশ্বকাপে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে খেলতে নেমে ১০০০ তম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি। হাজার তম ম্যাচ খেলে ৭৮৯ টি গোলের মালিক হলেন তিনি। এর মধ্যে আর্জেন্টিনার হয়ে ১৬৯ টি ম্যাচে করেছেন ৯৪ টি গোল এবং বার্সেলোনার হয়ে ৭৭৮ টি ম্যাচে করেছেন ৬৭২ টি গোল। বার্সেলোনা ছাড়ার পর তিনি যোগ দেন পিএসজিতে। সেখানে ৫৩ ম্যাচে তার গোল সংখ্যা ২৩ টি।
উল্লেখ্য, কাতার বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গোল দিয়ে ম্যারাডোনাকে টপকে তো গেলেনই, সেই সঙ্গে রইলেন আরও এক রেকর্ডের অপক্ষায়। তার সামনে এখন শুধু একজন, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা ( ১০)। কোয়ার্টার ফাইনালে আর এক গোল করলেই তিনি স্পর্শ করবেন গ্যাব্রিয়েলকে। আর দ্বিতীয় গোলের দেখা পেলে সে ম্যাচেই টপকে যাবেন গ্যাব্রিয়েলকেও। আর্জেন্টিনার পরবর্তী প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জিততে পারলে শিরোপা জেতার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে মেসিবাহিনী।