নিজেদের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা জিততেই কাতারে পা রেখেছে ব্রাজিল। এখন পর্যন্ত ছন্দময় ফুটবলটাও খেলে যাচ্ছে সেলেসাওরা। এই যাত্রার তাদের সামনে কোয়ার্টার ফাইনালে এখন শক্তিশালী ক্রোয়েশিয়া। যদিও আগে কখনো বিশ্বকাপ জেতেনি ক্রোয়েটরা। তবে বর্তমান রানার্সআপরাও যে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চোখ রাঙাবে, তা বেশ অনুমেয়। অবশ্য নেইমার জুনিয়রদের সামনে একটাই লক্ষ্য, কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে বিশ্বকাপ জয়ের পথে আরো একধাপ এগিয়ে যাওয়া।
শক্তিমত্তার দিক দিয়ে কেউ কারো চেয়ে কম নয়। ক্রোয়েটদের আক্রমণভাগে আছেন লুকা মড্রিচ, প্যারিসিসের মতো ফুটবলাররা। যারা এবারের বিশ্বকাপেও দারুণ ফর্মে আছেন। বিশেষ করে প্যারিসিসকে আটকানোটা কঠিন হয়ে পড়বে থিয়াগো সিলভা, মার্কুইনহোসদের। পাল্টা আক্রমণে ব্রাজিলিয়ান শিবিরে নেইমারের সঙ্গে আছেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, রিচার্লিসনের মতো তারকা।
অবশ্য দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জয়ের বিকল্প কিছু ভাবতে নারাজ। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ” আমরা এখানে বিশ্বকাপ জিততে এসেছি। জয় ছাড়া আর কিছুই ভাবছি না। এটা আমাদের সবার স্বপ্ন। তবে খুব সতর্কভাবে এগোতে হবে। প্রতিপক্ষ নিয়ে আমরা সতর্ক। চ্যাম্পিয়ন থেকে আর কয়েক ধাপ দূরে আছি। এই অবস্থায়, সবগুলো ম্যাচ জিততে আমাদের দলের সবাই খুবই আত্মবিশ্বাসী। “
অপরদিকে টানা দুইবার স্বপ্নভঙ্গ করতে চান না মড্রিচরা। গেল আসরে অসাধারণ ফুটবল খেলে ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে যায় ক্রোয়েশিয়া। সেবার গোটা ফুটবল বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেয় তারা। তবে শেষ পর্যন্ত আর শিরোপায় চুমু খাওয়া হয়নি। ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে হেরেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এবার অবশ্য স্বপ্নের শিরোপায় চুমু খাওয়ার সুযোগটা আর হাতছাড়া করতে চাইবেন না তারা।
তবে মাঠের লড়াইয়ের সঙ্গে চাওয়া-পাওয়ার হিসাব তো আর মিলে না। যেদিন যে দল ভালো খেলবে, দিনশেষে সেই দলই জিতবে। অবশ্য বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে, স্নায়ুর চাপটাও বেশ কাজ করে। সেই চাপ সামলানোটাও কঠিন হয়ে যায়। এখানে অভিজ্ঞতাই বড় সম্বল। সব চাপ সাইডলাইনের বাইরে ফেলে, জয়ের দেখা পেলেই সেমিফাইনালে পা রাখবে কোয়ার্টার বিজয়ী দলটি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কোন দল হাসে বিজয়ের হাসি।