মেসির বয়সটা এখন ৩৬, ক্যারিয়ারের সূর্যাস্ত চলছে। বিশ্বকাপের আগেই ঘোষণা দিয়েছেন কাতার বিশ্বকাপই তার শেষ বিশ্বকাপ। ক্যারিয়ারের সূর্যটা ডুবে যাওয়ার আগে বিশ্বকাপ জিতে একটা ঝলক তাই দিয়েই যেতে চান মেসি। কাতার বিশ্বকাপে সেভাবেই এগিয়ে চলছে আর্জেন্টিনা। কোয়ার্টার ফাইনালেও দেখা মিলেছে সেই জাদুকরী মেসির। নিজে গোল করেছেন, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন। আর তাতেই বিশ্বকাপে অনন্য এক মাইলফলক স্পর্শ করে ফেলেন তিনি।পাশাপাশি যোগ্য দল হিসেবেই মেসিরা সেমিফাইনালে পৌছে গেছেন বলেও মনে করেন মেসি।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মেসি। এ নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গোল সংখ্যা ৪! আর সবগুলো বিশ্বকাপ মিলিয়ে মেসির গোল এখন ১০টি। আর তাতেই ছুঁয়ে ফেললেন স্বদেশী কিংবদন্তি গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে। বর্তমানে দেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ গোলের মালিক যৌথভাবে দুই প্রজন্মের এই দুই তারকা।
অবশ্য মাইলফলকের রাতে ভিন্ন এক মেসির দেখা মিলেছে সবুজ গালিচায়। যা সাধারণত দেখা যায় না। তাতিয়ে যাওয়া মেসি যেন জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত চিতার মতো ছুটে চলেছেন। অবশ্য কারণও আছে। ম্যাচের আগে ডাচ কোচ লুইস ফন গাল বলেছিলেন, ” আর্জেন্টিনার পায়ে বল না থাকলে, মেসি কিছুই করতে পারেন না। ” সেই কথা অবশ্য আলবিসেলেস্তের জন্য বেশ গায়ে লাগার মতোই। লেগেছে মেসির ও। এটাই নাকি তাতিয়ে দিয়েছে মেসিকে।
গালের সঙ্গে মেসির লড়াই পুরনো। ২০১৪ বিশ্বকাপেও ডাচ কোচের কৌশলের কাছে আটকা পড়েন আর্জেন্টাইন তারকা। তবে এবার আর জাদুকরকে আটকানো গেল না। বরং আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠলেন মেসি। অপমানের জবাবটা মাঠে দিয়ে মেসি জানালেন, ” গালের কথা আমাদের জন্য অপমানজনক। তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। আমরা যোগ্য দল হিসেবে সেমিফাইনাল গেলাম। “
বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকার বিশ্ব জয় করতে, আর দুই ধাপ বাকি। সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। সেই বাঁধা পেরিয়ে, ফাইনালটা জিতলেই অধরা শিরোপায় চুমু খাওয়ার সৌভাগ্য হবে মেসির। সেই সাথে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পাবে আর্জেন্টিনা। অবশ্য এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে মেসিরা যেভাবে খেলছে, সেই ধারা বজায় রাখতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটির।