বুধবার পোল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোয় ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। সেই ম্যাচটিই আবার লিওনেল মেসির জন্য বিশেষ, স্মরণীয়। কারণ, আর্জেন্টিনার জার্সিতে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়লেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এই ফরোয়ার্ড। এই অর্জনে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন স্বদেশী কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি মেসির ২২ নম্বর বিশ্বকাপ ম্যাচ। অপরদিকে ম্যারাডোনা খেলেছেন ২১ ম্যাচ। রেকর্ড ম্যাচটি স্মরণীয় করে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করলো আলবিসেলেস্তেরা। অবশ্য কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার পর আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর জানালেন, ম্যারাডোনা বেঁচে থাকলে এই অর্জনে খুশি হতেন।
ম্যারাডোনা তাকে খুব স্নেহ করতেন বলেও জানান মেসি। তিনি বলেন, ” কিছুদিন আগেই আমি এটি (রেকর্ড) জেনেছি। আসলে এরকম রেকর্ড ভাঙা-গড়া বেশ আনন্দের বিষয়। ম্যারাডোনা বেঁচে থাকলে, এসব দেখে খুব খুশি হতেন। তিনি আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। আমার সাফল্যে সবসময় তিনি খুশি হতেন। এখনও তা-ই হতেন। “
তবে এমন সুখকর ম্যাচেও বিষাদের চরিত্র হয়েছেন মেসি। পেনাল্টি শটে পোল্যান্ডের জালে বল জড়াতে না পারার আক্ষেপ তাকে পোড়াচ্ছে বেশ। কারণ, পোলিশ গোলরক্ষক মেসির শট ঠেকিয়ে দেওয়া মাত্রই লজ্জার রেকর্ডে নাম উঠে যায় তার। বিশ্বকাপের ইতিহাসে দুটি পেনাল্টি মিস করা একমাত্র ফুটবলার এখন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
এই ভুলে মেসি নিজেও ক্ষুব্ধ অনুতপ্ত। ম্যাচ শেষে তা জানালেন নিজেই। অবশ্য এরপরেই নাকি তাতিয়ে গেছেন তিনি নিজে এবং তার সতীর্থরা। মাঠেও যার দেখা মেলেছে। পোলিশদের জালে দুই গোল দিয়েছেন তারা। মেসিদের চোখ এখন দ্বিতীয় রাউন্ডে। নিজেদের ছন্দ ধরে রেখেই খেলতে চান তারা। ভক্ত-সমর্থকদেরও আস্থা রাখতে বললেন মেসি।