কয়েকদিন আগেই ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু এখনো সেই আমেজ কাটেনি। আনন্দের জোয়ারে ভাসছে লাতিন আমেরিকার দেশটি। লিওনেল মেসিরব লুসাইলের ড্রেসিংরুম থেকে শুরু করে লকার রুম, উদযাপন থামেনি কোথাও। নিজেদের দেশে ফিরেও সমর্থকদের সঙ্গে উদযাপনে যোগ দিয়েছেন লিওনেল মেসিরা। সেখানেই সমালোচনার মুখে পড়লেন এক খেলোয়াড়।
বিশ্বকাপ জয়ের উদযাপন উপলক্ষ্যে গোটা আর্জেন্টিনা জুড়েই রাস্তায় রাস্তায় মানুষের ঢল নেমেছে। বিশেষ করে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে দেশটির রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্স। সেখানে সমর্থকদের সঙ্গে সোনালী ট্রফি নিয়ে উদযাপনে যোগ দিয়েছেন খেলোয়াড়রা। যেখানে দেখা যায়, ফ্রান্সের ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের চেহারার একটি পুতুল হাতে ছাদখোলা বাসে ঘুরছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ব্যঙ্গ করার সেই ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়তেই কড়া সমালোনার মুখে পড়ে যান এবারের বিশ্বকাপের গোল্ডেন গ্লাভস পাওয়া গোলরক্ষক। নেটিজেনদের মতে, মার্টিনেজের এমন কান্ড রীতিমতো অসম্মানজনক। যেখানে জার্সি বদল করে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়, সেখানে তার উল্টো।
অবশ্য এর আগেও এমবাপ্পেকে বিদ্রুপ করেছেন মার্টিনেজ। শিরোপা জয়ের পর লুসাইলের ড্রেসিংরুমে যখন মেসিরা নেচে – গেয়ে উদযাপন করছিলেন, তখন হঠাৎ ফরাসির তারকার জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করেন মার্টিনেজ। তখন থেকেই সমালোচনা শুরু হয়। অবশ্য এবারের বিশ্বকাপে মার্টিনেজকে পেনাল্টিসহ মোট চারটি শট মেরেছেন এমবাপ্পে। যার একটি ঠেকাতে পারেননি তিনি।
যদিও মার্টিনেজের হয়ে কথা বলছেন খোদ আর্জেন্টাইন সমর্থকরা। এমবাপ্পেকে বিদ্রুপ করার কারণ হিসেবে তারা দেখাচ্ছে, ২০১৮ সালে ফ্রান্স চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেসিকে বিদ্রুপ করার ঘটনা। সেই ঘটনা এমন ছিল যে, দেশে ফিরে ফরাসিরা গানে গানে উদযাপন করার সময় টেনে নিয়ে আসেন মেসিকে। তারা বলেন, ছোট্ট এনগোলো কান্তেই আটকে দিয়েছেন ফুটবলের সবচেয়ে বড় জাদুকরকে। ফুটবল বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন এতদিনে তবে কি শোধ তুলছেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক?