জমকালো ফাইনালের মধ্য দিয়ে কাতারে পর্দা নামলো ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের। আর এই আসরে শক্তিশালী ফ্রান্সকে হারিয়ে শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। অবশ্য ম্যাচের ৩ – ৩ গোলে সমতা থাকলেও, ট্রাইব্রেকারে জয় পায় লিওনেল মেসির দল। অপরদিকে হ্যাটট্রিক করেও শিরোপার উদযাপন করতে পারলেন না কিলিয়ান এমবাপ্পেরা। আর্জেন্টাইনদের হাসিতেই ফরাসিদের কান্না।
এটি আর্জেন্টিনার তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়। ১৯৮৬ সালে শেষবার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় আলবিসেলেস্তেরা। এরপর দীর্ঘ ৩৬ বছর কেটে গেলেও, সোনালী ট্রফির ঘ্রাণ পায়নি তারা। তাই তো এবার মেসির হাত ধরে বিশ্বজয়ের আনন্দে উল্লাসে ফেটে পড়েছে গোটা আর্জেন্টিনা। জয় নিশ্চিত হওয়া মাত্রই বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তায় নেমে এসেছেন হাজার হাজার সমর্থক। নেচে গেয়ে উদযাপন করেছেন তারা।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, লুসাইলে নিজ দেশের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর গভীর রাতে রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ। বিশ্বজয় উদযাপন করতে তারা জার্সি, টুপি, পতাকা নিয়ে উল্লাস করেছেন। সমর্থকদের মতে, এ জয় অবিশ্বাস্য। স্বপ্নের মতো এই জয়ে, দলের সবচেয়ে বড় তারকা মেসির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন তারা। সেই সাথে মেসির শ্রেষ্ঠত্বকে আলিঙ্গনও করলেন।
অপরদিকে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারটা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না ফরাসিরা। ট্রাইব্রেকারে হারের পরেই প্যারিসের রাস্তায় নেমে আসেন দেশটির ফুটবল সমর্থকরা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেরেন তারা। এসময় আকাশের দিকে আতশ বাজিও ছুড়ে মারতে দেখা যায়। এসব ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, লুসাইলের ফাইনালকে ঘিরে কয়েক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ফ্রান্সে। তারপরও দাঙ্গা ঠেকাতে পারেনি দেশটি। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলা, দাঙ্গা এবং আগুন জ্বালানোর ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন সমর্থকরা। অবশ্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অ্যাকশনে যায় পুলিশও। প্যারিসে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে তারা।