এবারের বিশ্বকাপে স্পেনের অর্জন কি? বেশিরভাগ ফুটবল প্রেমিদের কাছে এই প্রশ্ন করা হলে হয়ত উত্তর আসবে, ” কয়েক হাজার পাস। এবারের বিশ্বকাপে পাসের যেন পসরা সাজিয়ে ছিলো স্পেন। নিখুঁত পাস, অবশ্যই ফুটবলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দিনশেষে গোল না পেলে মাটি হয়ে যায় সুন্দর ফুটবল। কাতারে ঠিক তেমনই হয়েছে স্পেনের সঙ্গে। মরক্কোর কাছে হেরেই বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। তারেই জেরে এবার দলের কোচকে বরখাস্ত করে দিল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন।
শুধু এখানেই শেষ নয়, বড় দল হয়েও যেভাবে দুধভাত শিশুর মতো হেরেছে স্পেন, তা রীতিমতো অবাক করেছে সবাইকে। তুলনামূলক দুর্বল শক্তির মরক্কোকেই ট্রাইবেকারে গোল করতে পারেনি স্পেন! আর তাতেই সমালোচনার তীর ধেয়ে আসছে ফুটবলার এবং কোচের দিকে। অবশ্য ম্যাচের আগেই লুইস এনরিখে জানিয়েছেন, ১০০০টি পেনাল্টি শট অনুশীলন করেছে তার শিষ্যরা।
কিন্তু বিশ্বকাপে এসেই ভরাডুবি। যার কড়া মাশুল দিতে হলো এনরিখেকে। শেষমেশ নিজের চাকরিটাই হারালেন তিনি। তার পরিবর্তে নতুন কোচও নিয়োগ দিয়ে ফেলেছে স্পেন। জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে লুই ডি ফুয়েন্তের কাঁধে। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগের কোচকে বরখাস্ত এবং নতুন কোচ নিয়োগের বিষয়টি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নতুন কোচের অধীনে কেমন খেলবে স্পেন, সেটা আপাতত পরের কথা। কিন্তু ফুয়েন্তের ওপর আস্থাটা পরিপূর্ণভাবেই রাখলো দেশটির ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অবশ্য এর আগেও কিছু সময়ের জন্য স্পেনের হয়ে কাজ করেছেন ফুয়েন্তে। সেবার দায়িত্ব ছিল অনুর্ধ্ব-২১ দলে। এবার অবশ্য জাতীয় দলের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে ২০২৩ সালের মার্চ থেকে মাঠে নেমে পড়ার কথা রয়েছে নতুন কোচের।
একসময় স্পেনের হয়ে ফুটবলটা খেলেছেন ফুয়েন্তে। কোচ হয়ে এবার খেলবেন মস্তিস্ক দিয়ে। সাবেক ডিফেন্ডারের নতুন অধ্যায়টা নিশ্চয় আর এনরিখেকের মতো হতাশায় ডুবাবে না, এমনটাই আশা করছে স্প্যানিশরা। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে স্পেনের সফলতা বলতে কেবল ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয় । এরপর থেকে আর খুব একটা দাপট দেখাতে পারেননি তার। পেয়েছে কেবল হতাশা আর হতাশা। নতুন কোচের অধীনে স্পেন ঘুরে দাঁড়ায় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।