BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগালের বিদায়, কাদলেন রোনালদো

বিশ্বকাপ থেকে পর্তুগালের বিদায়, কাদলেন রোনালদো

ক্যারিয়ারের গোধূলীলগ্নে নিজের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে আসেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কাতারে পা রাখার আগে সামলে এসেছেন একটি ঝড়। ক্লাব ফুটবলে অফ – ফর্ম এবং কোচ, কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে বিশ্বকাপ খেলতে নামেন সিআরসেভেন। মরুর বুকে মুখের হাসিতে বোঝাতে চেয়েছিলেন, নিজের শেষটা রাঙাতে চান রোনালদো। কিন্তু মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপ শেষ পর্তুগালের। সেই সাথে শেষ হলো রোনালদোর বিশ্বকাপ অধ্যায়ও। তবে এই ম্যাচেও আলোচনায় রেফারি। 

শনিবার রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে অনেকটা দুর্বল শক্তির দল মরক্কোর কাছে ১ – ০ গোলে ধরাশায়ী হয় পর্তুগাল। অবশ্য সেই ম্যাচে শুরু থেকেই মাঠে নামেননি দলের সবচেয়ে বড় তারকা রোনালদো । অঘটনের এই বিশ্বকাপে  সিআরসেভেনকে ছাড়া মাঠে নেমেই প্রথমার্ধে গোল হজম করে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট পর্তুগাল। আর তাতেই রোনালদো এবং তার দেশের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন শেষ হয়।

অবশ্য এই ম্যাচ হারের জন্য রেফারিকেই দায়ী করলেন পর্তুগিজ অধিনায়ক পেপে। ৩৯ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার হারের পর বলেন, ” ম্যাচ পরিচালনাকারী রেফারি আর্জেন্টিনার, তার মাঝে পক্ষপাত দেখেছি। রেফারি মোটেও নিরপেক্ষ ছিলোনা। উনি মেসির কথা শুনেছেন। আর তাই মরক্কোকে সুবিধা দিয়েছেন। জোর করে হলেও পর্তুগালকে হারানোর চেষ্টা করেছেন তিনি। ম্যাচের অনেকগুলো সিদ্ধান্ত আমাদের বিপক্ষে গেছে।এটা মানা যায়না৷ বাজে রেফারিংয়ের কাছে আমরা হেরে গেলাম। “

অধিনায়কের কন্ঠে সুর মিলিয়েছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজও। তিনি বলেন ” মেসির হাতে বিশ্বকাপ শিরোপা তুলে দিতে চান সেই রেফারি। যে কারণে মরক্কোকে কে সুবিধা দিতে   পর্তুগালের বিপক্ষে অহেতুক বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি । এতে খেলার ছন্দ নষ্ট হয়েছে। মূল খেলা থেকে নষ্ট হওয়া সময়গুলো অতিরিক্ত সময়ে ভালোভাবে যোগ করেননি এই আর্জেন্টাইন রেফারি। বিশ্বকাপে এই রকম আশা করিনি আমরা।  তবুও আমরা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে গেছি। এই হার, দুর্ভাগ্য বলতে হবে। “

রেফারি নিয়ে বিতর্ক ব্যাপারটা নতুন নয়। কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস – আর্জেন্টিনা ম্যাচেও রেফারিং নিয়ে  প্রশ্ন তুলেছিলেন স্বয়ং মেসি। বাজে রেফারিং হয়েছে আর্জেন্টিনা – নেদারল্যান্ডস ম্যাচেও। যে ম্যাচে কার্ডের বন্যা বয়ে যায়। অবশ্য রোনালদোদের ব্যর্থতা তো আর অজুহাতে ঢাকা যায় না। তাই তো, নিজের শেষ বিশ্বকাপে বিদায় বেলায় অশ্রুসিক্ত নয়নে ফিরতে হয়েছে রোনালদোকে। অথচ গল্পটা ভিন্ন হতেও পারতো। আরেকটু সুন্দর, রঙিন। তবু ফুটবলে রোনালদোর যে অবদান তা দিয়েই হয়ত ভক্তরা মনে রাখবে প্রিয় তারকাকে।

Exit mobile version