এবারের বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকেই বাদ পড়তে হয়েছে জার্মানিকে। এক জয় আর এক ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়েও সমীকরণের মারপ্যাঁচে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে পারেনি চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এ নিয়ে টানা দুই বিশ্বকাপে নকআউট খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি দলটি। আর তাই তো, নিজের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি দেখে ফেললেন থমাস মুলার।
বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর নিশ্চয়ই অনেক বদল ঘটবে জার্মান দলে। দেশের জার্সিতে আবারো খেলার সুযোগ পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দিহান স্বয়ং মুলার নিজেই। অথচ দেশের হয়ে তার অর্জনটাও চমৎকার। ১২১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে গোল করেছেন ৪৪টি। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ের মতো সুখস্মৃতিও আছে এই ফরোয়ার্ডের ক্যারিয়ারে। তবু এবারের বিশ্বকাপ গত বিশ্বকাপের মতই হতাশা বয়ে এনেছে মুলারের জন্য।
বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ার পর এক সাক্ষাৎকারে এই তারকা বলেন, ” হয়ত এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি মুহূর্ত আমরা একসাথে উপভোগ করেছি। প্রতিটি খেলা মাঠে হৃদয় নিংড়ে দিয়ে খেলেছি। সবকিছু ভালোবাসা দিয়ে করেছি। কখনো কান্নাটা আনন্দের, আবার কখনো বেদনার। এখন আমাকে অন্যকিছু ভাবতে হবে। আপনাদের সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। “
অবশ্য সর্বশেষ দুটি বিশ্বকাপে দলীয় সাফল্য না পেলেও, সবমিলিয়ে মুলারের বিশ্বকাপ রেকর্ডটা মনে রাখার মতো। ২০১০ সাল থেকে ২০২২, মোট চারটি বিশ্বকাপ খেলেছেন তিনি। যেখানে গোল করেছেন ১০টি। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে নিজের সেরা সাফল্য দেখিয়ে আসরের সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কারও জিতেন তিনি।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপ জয়েও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মুলার। কিন্তু নিজের শেষ দুটি বিশ্বকাপ মোটেই রাঙাতে পারেননি তিনি। মুলার চাইবেন রাশিয়া এবং কাতারের স্মৃতি ভুলে যেতে। নিজের ব্যর্থতার সঙ্গে লেপ্টে আছে দলীয় ব্যর্থতাও। হয়তো পরের বিশ্বকাপে আর দেখা যাবে না তাকে।অন্যদিকে গুঞ্জন শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ ব্যর্থতার জেরে ফুটবল থেকে অবসর ই নিয়ে ফেলতে পারেন মুলার।