গেল ১৮ ডিসেম্বর কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচটি খেললেন লিওনেল মেসি। বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তার দল, আর্জেন্টিনা। সোনালী ট্রফি হাতে পাওয়ার পর থেকে আর্জেন্টাইনদের উদযাপন আর আনন্দ যেন আর থামছেই না। লাখো মানুষের সঙ্গে উদযাপনের পর এবার মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি।
আবেগঘন এক বার্তায় বিশ্বকাপ জয়ের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মেসি তুলে আনেন গোটা ক্যারিয়ারের নানান দিক। তিনি বলেন, ” বিশ্বকাপ জয় দারুন ব্যাপার। প্রতিদিন এটা হয়না। এই বিশ্বকাপ জিততে আমাদের প্রায় তিন দশক সময় লেগেছে। এটা অবশ্যই দীর্ঘ সময়। আমার ক্যারিয়ারে ফুটবল আমাকে আনন্দ আর দুঃখ, দুটোই দিয়েছে। হারি কিংবা জিতি আমি সবসময় চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছি। সবসময় চেষ্টা করে গেছি সেরা হতে। খারাপ সময়েও নিজের উপর বিশ্বাস রেখেছি। এখন চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, আমি খুব খুশি। “
সতীর্থদের খেলার প্রশংসা করে আর্জেন্টাইন অধিনায়ক আরো বলেন, ” দারুন একটি বিশ্বকাপ গেলো। বিশ্বকাপে দল হিসেবে আমরা অন্য সবার চেয়ে ভালো খেলেছি। এ কারণেই আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। আগের আসর গুলোতে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি তবে আমরা ভালো খেলতে পারিনি, তাই স্বপ্নও পূরণ হয়নি। বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। এবার বিশ্বকাপ জিততে সবাই মরিয়া ছিলো, দলের সবাই খুবই পরিশ্রম করেছে। সবার মধ্যে জয়ের নেশা ছিল। এই ট্রফিটা আর্জেন্টিনার ছেলেদের প্রাপ্য ছিল।আমাদের পরিশ্রমের ফল এটা “।
অবশ্য আনন্দ উদযাপনের মুহূর্তে নিজেদের কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে স্মরণ করতে ভুলেননি মেসি। ফুটবলের ক্ষুদে জাদুকর মনে করছেন, স্বর্গ থেকে তাদের বিশ্বজয় উপভোগ করছেন ফুটবল ঈশ্বর। যিনি মেসিদের আগেই দুটি বিশ্বকাপ উপহার দিয়ে গেছেন আলবিসেলেস্তেদের। তাই তো, মেসিরা মনে করছেন এবারের বিশ্বকাপ জয়ে গোটা আর্জেন্টিনার সঙ্গেই আছেন প্রয়াত বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ম্যারাডোনা।
কাতারে বিশ্বকাপ জয়ে পর্দার আড়ালের নায়কদেরও কৃতিত্ব দেন মেসি। কোচিং স্টাফ থেকে শুরু করে দলের সবার পরিশ্রমের ফলেই এই ট্রফি অর্জন করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। এছাড়া ২০১৪ সালের ফাইনাল হারের কথা টেনে মেসি জানান, হারের যন্ত্রণা মানুষকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কাছে নিয়ে যায়। মারাকানার সেই দুঃখের কান্নাকে লুসাইলে সুখের কান্নায় পরিণত করেছেন মেসিরা।