এবারের ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের একই গ্রুপে জার্মানি, স্পেন, জাপান এবং কোস্টারিকা। এই গ্রুপ থেকে নকআউটের জন্য ফুটবলপ্রেমীরা চোখ বন্ধ করে বেছে নেবেন সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি এবং স্পেনকে। শক্তিমত্তার বিচারেও যোজন যোজন এগিয়ে ইউরোপের এই দুটি দেশ। কিন্তু সেই গ্রুপেই কি না চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল জাপান! বিস্ময়কর বটে।
বিস্ময় জাগানিয়া হলেও সত্য, এশিয়ান জায়ান্টদের সঙ্গে পেরে ওঠেনি জার্মানি এবং স্পেন। এই দুটি দেশকে হারিয়েই শেষ ষোলোয় জায়গা করে নেয় জাপানিরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ এখন শক্তিশালী ক্রোয়েশিয়া। তবে প্রতিপক্ষের কথা না ভেবে, এখান থেকেই নিজেদের কাজটা শুরু করতে চান তাকুমা আসানো।
অপরদিকে বিশ্বকাপে উড়ন্ত ফর্মে আছে আরেক এশিয়ান পরাশক্তি দক্ষিণ কোরিয়া। পয়েন্ট টেবিলের সমীকরণ সামনে নিয়ে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে পর্তুগালের মুখোমুখি হয় তারা। যে ম্যাচে সমীকরন ছিলো, জয় পেলেই তারা চলে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে। আর তাতেই বাজিমাত। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দলকে হারানোর মতো কাজটি করেই ফেলে সনরা হিয়াং মিনরা।
তবে দ্বিতীয় রাউন্ডেই দক্ষিন কোরিয়ার সামনে পড়েছে ফুটবল বিশ্বের আরেক পরাশক্তি ব্রাজিল। অবশ্য পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদেও বেশ চোখ রাঙাচ্ছে কোরিয়ানরা। সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায়, বলছে ব্রাজিলকে মাঠের খেলায় একটুও ছাড় দিতে নারাজ তারা। ব্রাজিল শিবিরে শক্তি ফিরেছে, দলের সবচেয়ে বড় তারকা নেইমার জুনিয়র সুস্থ হয়ে ফেরায়। কোরিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেন তিনি।
সব যদি-কিন্তু ছাপিয়ে এশিয়ানদের স্বপ্নযাত্রা কোথায় গিয়ে থামবে, তা বলা মুশকিল। তবে গ্রুপপর্বের জাপান-দক্ষিণ কোরিয়াকে দেখে, এদের কেউ অন্তত সেমিফাইনালে না গেলে এশিয়ানদের আফসোস হতেই পারে। এশিয়ার মানুষদের স্বপ্ন পূরন করতে জাপান, এবং দক্ষিন কোরিয়াকে পাড়ি দিতে হবে আরো কঠিন পথ। ছন্দ আর গতির মিশেলে বজায় রাখতে হবে সুন্দর ফুটবলের ঝংকার। বিশ্বকাপে তাদের হাতেই যে এখন এশিয়ার পতাকা।