নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর ম্যাচের বিবরণ
ম্যাচ: নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর, ১৯তম ম্যাচ। কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ
তারিখ: ২৫ নভেম্বর ২০২২
সময়: রাত ১০.০০ (GMT+৬), ৯.৩০ (GMT+৫.৫)
ভেন্যু: খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম, কাতার
নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর প্রিভিউ
নেদারল্যান্ডস এগারোটি ফিফা বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে একাধিকবার ফাইনালে খেলেছে (১৯৭৪, ১৯৭৮,২০১০সালে)। তারা পশ্চিম জার্মানিতে ১৯৮৮ সালের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়ে UEFA ইউরোপীয় শিরোপা অর্জন করেছে। তদুপরি, ১৯০৮, ১৯১২, ১৯২০ সালে অলিম্পিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ জিতেছিল। নেদারল্যান্ডস প্রতিবেশী বেলজিয়াম এবং জার্মানির পাশাপাশি ফুটবলের প্রতিষ্ঠিত শক্তি। নেদারল্যান্ডস – লিভারপুল প্লেব্যাক ভার্জিল ভ্যান ডাইকের মতো অভিজ্ঞ এবং ফরোয়ার্ড কোডি গাকপোর মতো যুবকদের সংমিশ্রণে গঠিত, কিংবদন্তি লুই ভ্যান গালের নির্দেশনায় – ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে বাদ পড়ার প্রক্ষিতে নিজেদের পুনরায় পরাশক্তি হিসাবে প্রমাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
দলটি তাদের বিপজ্জনক পাল্টা আক্রমণ শৈলী ব্যবহার করে ইকুয়েডরের বিপক্ষে তাদের দ্বিতীয় খেলায় আরও বিপদজ্জনক হবে বলে ধারনা করা যায়। তারা স্বাগতিক কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়েছে। দুটি দল এই ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে গ্রুপে নিজেদের অবস্থান সংহত করতে চাইবে।
ডাচ দলের বার্সেলোনার আক্রমণাত্মক, মেমফিস ডিপে, সেনেগালের ডিফেন্স গুড়িয়ে দিয়েছিল যদিও তিনি হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দলের বাইরে। সেনেগাল ম্যাচের মত খেলাটিকে শেষ সময় পর্যন্ত টেনে না নিয়ে, শুরুতে লিড চেষ্টা করবে নেদারল্যান্ড।
নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর ম্যাচের মূল পয়েন্ট
ফিফা বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের রেকর্ড তাদের নামের সঙ্গে বড্ড বেমানান। তারা ১৯৭৪, ১৯৭৮ এবং ২০১০ সালে ফাইনালে পৌঁছেছিল এবং ২০১৮ সালে তৃতীয় হয়েছিল। তবে ১৬ টি আসলে তারা মূল পর্বের টিকিট পেতে ব্যর্থ হয়।
২০ নভেম্বর কাতারের বিপক্ষে ইকুয়েডর প্রথম ম্যাচে তারা সুসংগঠিত ফুটবল খেলা উপহার দেয়। যদিও গ্রুপের বাকি দুই প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ তারিখ এবং সেনেগালের বিপক্ষে ২৯ তারিখ কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।
সেনেগালের বিপক্ষে এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ইকুয়েডর গ্রুপের কঠিনতম দুই প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সেখানে তারা তাদের সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করবে।
নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর হেড টু হেড
এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ড এবং ইকুয়েডরের তৃতীয় সাক্ষাৎ। এখন পর্যন্ত দুই বারের সাক্ষাতে নেদারল্যান্ড ম্যাচ জিতেছে এবং অপরটি ড্র করেছে।
নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর টিম নিউজ
ম্যামফিস ও মার্টিন দুজনই ইনজুরিতে থাকা সত্ত্বেও প্রথম ম্যাচে মাঠে নেমে ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচেও তাদের শুরুর একাদশে দেখা যেতে পারে। আবার লুইস ভ্যান গাল ইনজুরির ঝুঁকি এড়াতে তাদেরকে বিশ্রাম দিতে পারেন।
অপরদিকে কাতারের বিপক্ষে ইকুয়েডরের ২-০ গলে জয়ের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের শেষ দিকে ইনজুরি আক্রান্ত হন। এই ম্যাচে তার খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তিনি খেলতে না পারলে তার স্থলে মাইকেল স্টাটাকে দেখা যেতে পারে।
নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর স্কোয়াড
নেদারল্যান্ড স্কোয়াড
গোলরক্ষক: রেমকো পাসভীর, জাস্টিন বিজলো, আন্দ্রিস নপার্ট
ডিফেন্ডার: জুরিয়েন টিম্বার, ম্যাথিজ ডি লিগট, ভার্জিল ভ্যান ডাইক, নাথান আকে, স্টেফান ডি ভ্রিজ, টাইরেল ম্যালাসিয়া, ডেলি ব্লাইন্ড, ডেনজেল ডামফ্রিজ, জেরেমি ফ্রিম্পং
ফরোয়ার্ড: স্টিভেন বার্গভিজন, কোডি গ্যাকপো, লুক ডি জং, মেমফিস ডেপে, নোয়া ল্যাং, ভিনসেন্ট জানসেন, ওয়াউট ওয়েঘর্স্ট
মিডফিল্ডার: স্টিভেন বার্গুইস, ডেভি ক্লাসেন, মার্টেন ডি রুন, তেউন , কুপমেইনারস, ফ্রেঙ্কি ডি জং, কেনেথ টেলর, জাভি সিমন্স
ইকুয়েডর স্কোয়াড
গোলরক্ষক: হার্নান গালিন্দেজ, মোয়েসেস রামিরেজ, আলেকজান্ডার ডমিনগুয়েজ
ডিফেন্ডার: ফেলিক্স টরেস, পিয়েরো হিনকাপি, রবার্ট আরবোলেদা, উইলিয়াম পাচো, পারভিস এস্তুপিনান, জেভিয়ের আরেগা, অ্যাঞ্জেলো প্রিসিয়াডো, দিয়েগো প্যালাসিওস, জ্যাকসন পোরোজো
মিডফিল্ডার: হোসে সিফুয়েন্তেস, কার্লোস গ্রুয়েজো, এডুয়ার প্রিসিয়াডো, রোমারিও ইবারা, অ্যাঞ্জেল মেনা, জেরেমি সারমিয়েন্টো, গঞ্জালো প্লাটা, জেগসন মেন্ডেজ, অ্যালান ফ্রাঙ্কো, মোয়েসেস ক্যাসেডো
ফরোয়ার্ড: মাইকেল এস্ট্রাদা, এনার ভ্যালেন্সিয়া, জোর্কেফ রেসকো, কেভিন রদ্রিগেজ
নেদারল্যান্ড বনাম ইকুয়েডর প্রেডিকশন
স্কোরকার্ড: নেদারল্যান্ড ২-১ ইকুয়েডর
দুই দলই জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে থাকবে। এই ম্যাচে নেদারল্যান্ডের যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি তবে ইকুয়েড ছেড়ে কথা বলবে না।