বিশ্বকাপের রেওয়াজ অনুযায়ী ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়কের হাতেই শিরোপা তুলে দেন ফিফা সভাপতি কিংবা আয়োজক দেশের সরকার প্রধান। কাতারেও হয়েছে একই ঘটনা। ফ্রান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট অর্জন করা আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির হাতে শিরোপা তুলে দেন কাতারের আমির। তার আগে মেসিকে পরিয়ে দেওয়ায় হয় একটি বিশত।
ফাইনালের মঞ্চে মেসিকে বিশেষ মর্যাদার সেই বিশত পরিয়ে দিয়েছেন শেখ তামিম বিন হামাদ। সেই দৃশ্য দেখে গোটা বিশ্বের লোকজনের অবাক হওয়ার কথা। তবে ভিন্ন এক কারণে অবাক হয়েছেন আহমেদ আল সালেম। কারণ, তার প্রতিষ্ঠান থেকেই কেনা হয়ে হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে সেরা ফুটবলারকে পরিয়ে দেওয়া বিশত। এ নিয়ে বেশ গর্ববোধও করছেন আল সালেম।
কাতারে বিশত তৈরি করা শীর্ষ পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটির মালিক আল সালেমের পরিবার। নিজের দোকানের পোশাক মেসির গায়ে উঠা নিয়ে আল সালেম বলেন, ” কি কারণে এই বিশত নেওয়া হয়েছে আগে জানতাম না। তবে মেসির গায়ে উঠার পর আমার দোকানের ট্যাগ দেখে চিনতে পারি, এটি আমাদের। সেসময় আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। “
সাধারণত আরব বিশ্বে কালো রংয়ের এই পোশাকটি বিশত নামে পরিচিত। দেশের শীর্ষ ব্যক্তি, শেখ, এবং সমাজের উচ্চ পর্যায়ের মানুষেরা এই বিশত পরে থাকেন। যা তৈরি করা খুবই হালকা সুতা দিয়ে। পোশাকটিতে থাকে খাটি সোনার আঁচড়ও। শত শত বছর ধরে উপসাগরীয় দেশগুলোতে এই বিশত পরা হয়। যা আরব বিশ্বের একটি অন্যতম ঐতিহ্য হিসেবেও স্থান লাভ করেছে।
বিশেষ মর্যাদার এই পোশাকের দাম প্রায় ২ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। জানা গেছে, মেসিকে পরিয়ে দেওয়ার পর থেকে এই বিশতের চাহিদাও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে আর্জেন্টাইনরা এই পোশাক কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। আল সালেমের দোকানেও অসংখ্য আর্জেন্টাইন সমর্থক এই বিশত কেনার জন্য ভীড় জমিয়েছেন বলে জানান তিনি।