কাতার বিশ্বকাপ শেষ। ইতোমধ্যে বাড়ি ফিরে গেছে অংশগ্রহণকারী সবগুলো দল। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলেও স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাকি ৩১টি দলের। স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট বুকে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে ২০১৮ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সও। অবশ্য টুর্নামেন্টের ফাইনাল পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে লড়াই করেছেন ফরাসিরা। শেষ পর্যন্ত ট্রাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় হেরে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ ঘরে তোলা হয়নি তাদের।
অবশ্য এই হারের পরেও ফুটবলারদের উপর খুশী দেশটির সমর্থকরা। নিজেদের ফুটবলারদের রাজার বেশে বরণ করে নিয়েছেন সমর্থকরা। এমনকি আর্জেন্টিনার কাছে ফাইনালের হারটাকে বীরত্বপূর্ণ হার বলে মেনে নিয়েছেন তারা। কিলিয়ান এমবাপ্পে, অ্যান্তনিও গ্রিজম্যানদের আগমনে প্যারিসের রাস্তায় জড়ো হয়েছে হাজারো মানুষ। যাদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ফুটবলাররা।
প্যারিসে ফুটবলারদের জন্য একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনও করেছে ফ্রান্স কর্তৃপক্ষ। সেখানে খেলোয়াড়দের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান সমর্থকরা। এসময় খেলোয়াড়রাও সমর্থকদের ভালোবাসার উত্তর দেন, হাতা নেড়ে সাড়া দেন। সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের সময় প্যারিসের রাস্তায় উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার ফুটবলপ্রেমী। ফলে সেখানে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নিজ দেশে ফিরে সমর্থকদের ভালোবাসা পেয়ে লুসাইলের ফাইনাল হারের কষ্টটা যেন ভুলেই গেলেন ফরাসি ফুটবলাররা। সংবর্ধনা মঞ্চে সবার মুখেই দেখা গেছে হাসি। তবে ব্যতিক্রমী ছিলেন একজন, এমবাপ্পে। ২৪ বছর বয়সী এই তরুণ ফরোয়ার্ড এবারের বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জিতেও যেন খুশী হতে পারেননি। কারণ, তিনি চেয়েছেন টানা দুটি বিশ্বকাপ জিতে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যেতে।
এদিকে ১৮ ডিসেম্বর ফাইনাল হারের পর সেদিনই দাঙ্গা শুরু হয় ফ্রান্সে। বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা রাস্তায় নেমে আসেন এবং আগুন জ্বালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আকাশের দিকে নিক্ষেপ করেছেন আতশবাজিও। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে, সামাল দিতে টিয়ার গ্যাসও ছুড়ে দেশটির পুলিশ। কিন্তু সময় গড়াতেই সেই পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে। সেই সাথে ফুটবলারদেরও বরণ করে নেন তারা।
সমর্থকদের প্রত্যাশা এমবাপ্পের হাত ধরে আবার ঘুরে দাঁড়াবে ফ্রান্স। ইতোমধ্যে এমবাপ্পেও ঘোষণা দিয়েছেন ” আবার ফিরে আসব “। ফাইনালে হারলেও ফ্রান্সকে শুভেচ্ছা বার্তায় সিক্ত করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। আগামী বিশ্বকাপে ফ্রান্স আরো ভালো করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।