শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক বান্দুলা ওয়ার্নাপুরা সোমবার (১৮ অক্টোবর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলোম্বোর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন। এক বিবৃতিতে, ৬৮ বছর বয়সী বান্দুলা ওয়ার্নাপুরার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। এই কঠিন সময়ে বান্দুলার পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছে এসএলসি।
১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসের প্রথম টেস্ট ম্যাচের নেতৃত্ব দেন বান্দুলা। তিনি দেশের হয়ে প্রথম রান করেন এবং দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ওভার বোলিংও করার মাধ্যমে বিরল রেকর্ডও গড়েন। দেশের হয়ে সবমিলিয়ে চারটি টেস্ট এবং ১২টি ওয়ানডে খেলেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বান্দুলার অভিষেক হয় ১৯৭০ সালে, ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় দলের বিপক্ষে। তার প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট ছিলো ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৫ দলের বিপক্ষে খেলা ১৫৪ রানের ইনিংস।
সেই মৌসুমে একটি চার দিনের ম্যাচে পাকিস্তান একাদশের বিপক্ষে ৯২ রানের ঝকঝকে একটি ইনিংস খেলেন বান্দুলা। ঐ ম্যাচে পাকিস্তান একাদশে সেলিম আলতাফ, আসিফ মাসুদ এবং ইন্তেখাব আলমের মতো টেস্ট বোলাররাও ছিলেন।
১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয় এ সাবেক ওপেনারের। পরের ম্যাচে ডেনিস লিলি এবং জেফ থমসনের মতো ভয়ঙ্কর পেস জুটির বিরুদ্ধে ৩৯ বলে ৩১ রান করেন তিনি।
১৯৭৯ সালের বিশ্বকাপে বান্দুলার নেতৃত্বে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় লাভ করে শ্রীলঙ্কা। ১৯৮১-৮২ মৌসুমে তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ৯৮ বলে ৭৭ রান তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন। কিন্তু ম্যাচটি আট উইকেটে হেরে যাওয়ায় তার এই ইনিংস বৃথা যায়।
খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর শ্রীলঙ্কার কোচিং সেট-আপে দায়িত্ব পালন শুরু করেন তিনি। পরে ১৯৯০ সালে কোচিং এর দায়িত্বও পান বান্দুলা। এরপর ২০০০ সালে এসএলসি’র অপারেশনস পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তাঁকে। শেষে ২০০৮ সালে তিনি এসএলসি থেকে ইস্তফা দেন এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
বান্দুলার মৃত্যুতে, শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক সনাৎ জয়সুরিয়া, মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং বর্তমান অধিনায়ক দাসুন শানাকাসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার শ্রদ্ধাঞ্জলী জানিয়েছেন।
ক্রিকেটের সকল নতুন খবরের জন্য Baji -র সাথেই থাকুন!