বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সেরা অধিনায়ক কে? এই প্রশ্নটা করা হলে একজন সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী থেকে শুরু করে পুরোদস্তর ক্রিকেট বোদ্ধা, সবার মুখেই অকপটে বেরিয়ে আসে তার নাম। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মাঠ বা মাঠের বাইরে টিম বাংলাদেশের নেতা মাশরাফি বিন মুর্তজা ই। টাইগারদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নেওয়ার কারিগর তিনিই।মাশরাফির পরিসংখ্যানও বলছে তা–ই।
২০০৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে সর্বপ্রথম বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ আসে মাশরাফির সামনে। সেই সুযোগেই বাজিমাত। অবশ্য অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেলেও সেই দায়িত্ব থেমে যায় কেবল এক ম্যাচেই। এরপর ২০১০ সালে পান ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব। এই ফরম্যাটে অবশ্য লম্বা সময় টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
দুটি বিশ্বকাপসহ ২০২০ সাল পর্যন্ত ওয়ানডেতে মোট ৮৮ ম্যাচে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফি। আর তাতেই বদলে যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট। মাশরাফিও বনে যান দেশের ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক হিসেবে। এই ফরম্যাটে মোট ৮৮ ম্যাচ নেতৃত্ব দিয়ে ৫০টি জয় এনে দিয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্ব প্রথমবারের মতো ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে বাংলাদেশ।
এছাড়া ২০১৭ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা কার বা অজানা! মাশরাফির চৌকশ নেতৃত্বে সেবার সেমিফাইনাল খেলেছে টাইগাররা। ২০১৯ সালের ১৭ মে, বাংলাদেশের প্রথম বহুজাতিক শিরোপাও এসেছে মাশরাফির নেতৃত্ব। টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ২৮ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। যেখানে জয় এনে দিয়েছেন ১০টি।
বোলার মাশরাফি তর্ক সাপেক্ষে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা পেসার। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে লাল–সবুজের জার্সিতে মোট ৩১০টি ম্যাচ খেলেছেন নড়াইল থেকে উঠে আসা এই পেসার। যেখানে ৩৯০ উইকেট শিকার করার পাশাপাশি ২,৯৬১ রানও করেছেন। নিজের বোলিং দক্ষতায় বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘নড়াইল এক্সপ্রেস‘ হিসেবে খ্যাতি পেয়ে যান মাশরাফি।
১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন মাশরাফি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে। তবে গোটা ক্যারিয়ার জুড়েই চোটের সঙ্গে লড়াই করে ২০২০ সালে অবসরে যান তিনি।
৩৯ পেরিয়ে ৪০ শে পা দিলেন টিম বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। তার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ক্রিকেটার থেকে ভক্ত, সমর্থকরা।