সাদা পোশাকে নাঈম হাসানের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই চট্টগ্রামেই। ঘরের মাঠে অভিষেকটা রাঙিয়ে রেখেছেন এই অফ স্পিনার। প্রথম ইনিংসেই নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। এরপর আরো একবার পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। ৭ টেস্টের ক্যারিয়ারে মোট ২৫ উইকেট শিকার করলেও গত দেড় বছর ধরে টেস্ট দলের বাইরে নাঈম।
সর্বশেষ টেস্টেও খুব বেশি খারাপ খেলেছেন তা নয়। নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। কিন্তু অফ স্পিনারের জায়গাটা মেহেদী হাসান মিরাজ পাকাপোক্ত করে নিলে, দলে জায়গা হারান নাঈম। মূলত টিম কম্বিনেশনের কারণেই দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে তিনি। তবে এবার শ্রীলংকা সিরিজে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করলেন তিনি।
সিরিজ শুরুর কয়েকদিন আগে ইঞ্জুরিতে পড়েন মিরাজ। আর তাতেই কপাল খুলে নাঈমের। নিজের ঘরের মাঠে লংকানদের বিরুদ্ধে চেনা রূপে ফিরেছেন এই তরুণ ক্রিকেটার। তুলে নিয়েছেন নিজের চতুর্থ ফাইফার। লংকানদের বিপক্ষে ৩০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষ বেলায় অনবদ্য ব্যাটিং করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে হতাশায় ডুবিয়েছেন নাঈম। ১৯৯ রানে সাজঘরে ফিরিয়েছেন তাকে। তবে প্রথম ইনিংসের বোলিংয়ে বেশ খরুচে ছিলেন নাঈম। ৩০ ওভার থেকে রান দিয়েছেন ১০৫। মেইডেন ওভার করেছেন মাত্র চারটি। তবে নাঈমের এই বোলিং লংকানদের লাগাম টেনে ধরতে সাহায্য করেছে টাইগারদের।
ফলে লংকানদের ইনিংস থামে ৩৯৭ রানে। এ রান করতে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফেলেছেন তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯৯ রানের ইনিংস খেলেছেন ম্যাথিউস। এছাড়া কুশাল মেন্ডিসের ৫৪ এবং দিনেশ চান্দিমালের ৬৬ রান, লংকানদের বড় সংগ্রহ এনে দেয়।