দীর্ঘ ২ বছর ৯ মাস ২ দিনের অপেক্ষার পালা শেষ। অবশেষে মাঠের ২২ গজে দেখা মিলল সেই পরিচিত কিং কোহলির। যার ব্যাটিং আগুনে ঝলসে গেল আফগানিস্তান। দেখা গেল সেঞ্চুরির পর সেই হেলমেট খোলা ব্যাট উঁচানো সেলিব্রেশন। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শতরান করে এবারের এশিয়া কাপে প্রথম শতরানের অধিকারী হলেন বিরাট কোহলি।
সেই সাথে মাথা থেকে চাপ ও কি কমে গেলনা? প্রায় ৩ বছর ধরে সেঞ্চুরি পাননা সেই বদনামও যে ঘুচল। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কলকাতায় দিন রাতের টেস্টে করেছিলেন সেঞ্চুরি। এরপর সেঞ্চুরি করতে যেন ভুলেই গেলেন কিং কোহলি। আবার যখন দুবাইতে আফগানিস্তানের সাথে সেঞ্চুরি পেলেন পেরিয়ে গেছে জীবন থেকে ১০২০ দিন।
একটা সময় যাকে বলা হত ভারতের রান মেশিন। যার ঝুলিতে সব মিলিয়ে আছে ৭০ টির মত সেঞ্চুরি। সেই তার ৭১ তম সেঞ্চুরি পেতে লেগে গেল কিনা এতদিন? এদিন অবশ্য আরেকটি অনন্য নজির ও গড়লেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক। ৬১ বলে ১২২ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংসটিই যে তার টি টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি।
ফর্মহীন এই কোহলিকে নিয়ে সমালোচকদের কত সমস্যাই না ছিল। দল থেকে বাদ দেওয়ার কথাও শুনতে হয়েছিল তাকে। দুবাইয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সব প্রশ্নের জবাব যেন ব্যাটেই দিলেন কিং কোহলি।
এদিন রোহিতের বদলে রাহুলের সাথে ওপেন করতে নেমে আগুন ঝরতে থাকে ব্যাটে। চার–ছক্কার ফুলঝুরিতে বার্তা দিতে থাকেন দিনটি যেন তার। অবশেষে মাত্র ৫৩ বলেই পেরিয়ে যান শতক। তাও কি রাজকীয় ভঙ্গিতে, ৬ মেরেই পূরন করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ১২ চার, আর ৬ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ১২২ রানের ইনিংস।
গোটা স্টেডিয়াম মুখরিত হয়ে ওঠে কোহলি ধ্বনিতে। সেঞ্চুরি পর আকাশের দিকে তাকিয়ে তৃপ্তির হাসি দেন কিং কোহলি। হাতে থাকা আংটি এবং গলায় থাকা চেনে চুমু খেয়ে উদযাপন করেন বহুল কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরি । গ্যালারিভর্তি দর্শকও যেন এই ক্ষণের অপেক্ষায় ছিল।
এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তিন ধরনের ক্রিকেটেই শতরানের অধিকারী হয়ে গেলেন তিনি। ক্রিকেট বিশ্ব এখন কোহলি বন্দনায় মেতেছে। সবার কথা একটাই মাঠের ২২ গজে আবার ফিরেছে রাজা। পুরানো আলোচনা আবার নতুন করে ফিরেছে, শচীনের ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড কি ভাঙ্গতে পারবেন কিং কোহলি?