একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরন–পোষণ এবং সন্তানদের খরচ দেওয়ার দাবিতে স্ত্রী ইসরাতের করা মামলায় আত্মসমর্পন করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার আল আমিন। আত্মসমর্পনের পর জামিন পেয়েছেন এই পেসার। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মনজুর করেন আদালত।
নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন স্ত্রী ইসরাত জাহান। মামলা দায়ের করার পর বেশ কিছুদিন গা ঢাকাও দিয়েছিলেন তিনি। তবে মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আত্মাসমর্পন করেন আল আমিন। তারপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। মামলায় জামিন পেয়ে যান তিনি। শুনানির পর বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় ৬ অক্টোবর পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৭ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন ইসরাত জাহান। একসঙ্গে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরনপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে এই মামলা করেন। এরপর মামলা আমলে নিয়ে ২৭ অক্টোবর আল আমিনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত।
মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী ইসরাত জাহান ও আল আমিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইংরেজি ভার্সনে পড়াশুনা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল আমিন তার স্ত্রী অ সন্তানদের ভরনপোষণ দেন না এবং খোঁজও নিচ্ছেন না।
মামলা দায়ের করার আগে ইসরাতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ২৫ আগস্ট ২০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি করেন স্ত্রী ইসরাতের কাছে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করেন আল আমিন। এ ঘটনার পর মামলা দায়ের করেন ইসরাত।
গুঞ্জন আছে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন আল আমিন। যদিও বিয়ের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ইসরাতের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার কাছে এক মহিলার সাথে ছবিও পাঠানো হয়। বিষয়টি আরও জোরাল হয়, গত ৩ সেপ্টেম্বর আল আমিনের মায়ের মাধ্যমে জানানো হয়, স্ত্রী ইসরাত জাহানের সাথে আর সংসার করতে চান না এই ক্রিকেটার ।