বেশ কয়েকদিন থেকেই খুব বড় কোন ইনিংস খেলতে পারছিলেন না বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। তাছাড়া রিভার্স সুইপ খেলতে যেয়ে বারবার আউটের শিকার হয়ে দলকে বিপদে ফেলেছেন। তাই সমালোচনার তীরে বারবার বিদ্ধ হতে হয়েছে তাকে। অবশেষে টেস্ট ক্রিকেটে ১৮ ইনিংস পেরিয়ে শতকের দেখা পেয়েছেন মুশি। পাশাপাশি বুধবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরেকটি মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন এই ক্রিকেটার।
প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচ হাজার রানের এলিট ক্লাবে নিজের নাম যুক্ত করেছেন মুশফিক৷ সেঞ্চুরি উদযাপনে বেশ আগ্রাসী ভূমিকায়ই দেখা গেছে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। মাঠে মুশির উদযাপন যতটা নজর কেড়েছে, মাঠের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তার স্ত্রীর দেয়া পোস্ট এর থেকেও বেশি নজরে এসেছে।
মিস্টার ডিপেন্ডেবলের সেঞ্চুরি উদযাপনের একটি ছবি শেয়ার করে জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডি লিখেছেন, ‘আমরা হাসি মুখেই বিদায় নেব ইনশা আল্লাহ! তবে আপনাদের রিপ্লেসমেন্ট (বদলি) আছে তো??? সেদিকেও একটু নজর দিলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন হতো!’
মন্ডি তাহলে তীরটা কোন দিকে ছুঁড়লেন? সমালোচকদের দিকে নাকি বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপনের দিকে? কেননা, দিনকয়েক পূর্বে মুশিকে নিয়ে বিসিবি বসের দেয়া বক্তব্য তো এখনো আলোচনায়৷ কৌতুহলের অবসান ঘটাতে দিনশেষে চট্টগ্রামের সাগরিকায় সংবাদ সম্মেলনে মুশিকেই করা হলো প্রশ্নটি। তবে তার উত্তরটা ছিল বেশ সাবলীল। প্রশ্ন শোনে ঠোঁটের কোনে মুচকি হাসি এনে এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রথমত আমি দেখিনি সে কী লিখেছে। দেখলে বলতে পারব কী লিখেছে, কেন লিখেছে।’
বিসিবিকে কিছু না বললেও সমালোচকদের মোটেও ছাড় দেন নি মুশফিক। পরের প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য হলেও সমালোচকদের আরও পরিণত হতে বলেছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। তিনি বলেন, ‘এটা কোনো ক্রিকেটারের জন্যই কাম্য না। একমাত্র বাংলাদেশেই একদিন সেঞ্চুরি করলে ব্র্যাডম্যানের মতো বড় খেলোয়াড় হয়ে যায়। এরপর দুই দিন রান না করলে আবার মনে হয় গর্তে ঢুকে যাই। এটা শুধু একমাত্র আমাদের বাংলাদেশেই হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমালোচকদের উদ্দেশ্যে করে মুশফিক বলেন ” তাঁরা যদি আরেকটু পরিণত হতে পারেন তাহলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য আরও ভালো। আমরা তো সিনিয়র প্লেয়ার। আমরা হয়তো বেশি দিন খেলবও না। এটা ক্রিকেট সংস্কৃতির ব্যাপার। জুনিয়র যারা আছে তাদের যদি সমর্থন দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা অনুপ্রাণিত হবে। কারণ মাঠে আমাদের এত কিছু করতে হয়, এরপর যদি মাঠের বাইরে কি হচ্ছে সেটা ভাবতে যাই তাহলে মাঠের কাজটা কঠিন হয়ে যায়।’