পায়ের পেশির চোটে পড়ে মাঠের বাইরে চলে গেলেন মিচেল মার্শ। শ্রীলংকা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে দেখা যায়নি তাকে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও তারকা এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের খেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। সেরে উঠতে সময় লাগতে পারে কয়েক সপ্তাহ।
পাল্লেকেলেতে শনিবার তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলংকার মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচ শুরু আগেই সফরকারীদের ড্রেসিংরুম থেকে আসে দুঃসংবাদ। মার্শের ছিটকে যাওয়ার খবরটি অফিসিয়ালি নিশ্চিত করা হয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে।
এর আগে ছিটকে গেছেন আরেক অজি তারকা মিচেল স্টার্ক। আঙুলে চোট পেয়েছেন বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলার। সেই চোটের কারণে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও খেলতে পারেননি স্টার্ক। ওয়ানডে সিরিজের শুরুর দিকে তাকেও পাওয়া যাবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তার বদলি হিসেবে কেন রিচার্ডসন এবং জাই রিচার্ডসনকে ওয়ানডে দলে ডাকা হয়েছে।
কলম্বোয় সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলার সময় চোটে পড়েন মার্শ। ম্যাচটি অবশ্য ৩ উইকেটে জিতে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মার্শের জায়গায় খেলানো হয়েছে জশ ইংলিশ। এদিকে সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মার্শ এখন শ্রীলংকাতেই দলের সঙ্গে থেকে নিজের পুনর্বাসন চালিয়ে যাবেন।
মার্শ দেশে ফিরে যাচ্ছেন না, কারণ শ্রীলংকা সফরে টেস্ট সিরিজের দলেও আছেন তিনি। ওয়ানডে সিরিজে খেলতে না পারলেও শেষদিকে টেস্ট সিরিজে খেলার সম্ভাবনা থাকছে তার। তবে ক্যামেরন গ্রিন ফিট থাকলে সেই সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যেতে পারে মার্শের। একাদশে সুযোগ পাবেন ক্যামেরন।
মার্শের সঙ্গে এই চোটের সম্পর্কটা যেন শেষ হচ্ছেই না। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। গেল বছরের জুলাইয়ের পর খেলা হয়নি ওয়ানডেও। চোটের কারণে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আগে পাকিস্তান সফরেও খেলতে পারেননি তারকা এই অলরাউন্ডার।