ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) এর সভাপতির পদে দ্বিতীয়বারের মত দেখা যাবেনা সৌরভ গাঙ্গুলীকে। বাংলার মহারাজার পতন নিয়ে কি আর চুপ থাকতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী? এবার সৌরভকে নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। পদে বহাল থাকা জয় শাহ’র প্রসঙ্গ টেনে মমতার অভিযোগ, জোর করেই বিসিসিআই সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সৌরভকেে।
মমতা বলেন, ‘সব ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষ থেকে বলছি, সৌরভ আমাদের গৌরভ। সে যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গে মাঠেও খেলেছে, প্রশাসনও চালিয়েছে। ও বিসিসিআইয়ের সভাপতি ছিল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সৌরভ এবং জয়ের জন্য ছিল। এখন সৌরভ নেই, কিন্তু জয় আছে? তাহলে সৌরভকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে?’
গুঞ্জন আছে সৌরভ বিজেপির রাজনীতিতে যোগ না দেওয়ার কারনে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে বোর্ডের সভাপতি করা হয়নি৷ ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতে ছাপ ফেলতে সৌরভকে চেয়েছিলো বিজেপি। কিন্ত বিজেপির রাজনীতিতে যোগ না দেওয়ার মাসুল দিতে হলো সৌরভকে। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে শোরগোল পড়েছে।
তবে সৌরভকে আইসিসিতে চান মমতা। এমনকি তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও তদবীর করতে রাজি তিনি। মমতা বলেন, ‘সৌরভ আগেও আইসিসি প্রতিনিধি ছিল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, দয়া করে সৌরভকে আইসিসি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দিন। সে আমাদের গর্ব। ক্রিকেটের সব দেশে তাকে চেনে। দয়া করে ক্রিকেটে রাজনীতি ঢোকাবেন না। ক্রিকেটের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নিন।’
এদিকে সৌরভ আইসিসিতে যাবেন কি না, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে বার্ষিক বোর্ড সভা পর্যন্ত। তবে সৌরভ জানিয়েছেন, তিনি সিএবি নির্বাচনে লড়বেন। এজন্য ২০ তারিখের মধ্যে প্যানেল করে, ২২ অক্টোবর মনোনয়নও জমা দেবেন তিনি। মূলত সমালোচনার জবাব দিতেই এই নির্বাচনে লড়বেন সৌরভ। দেখা যাক নির্বাচনের মাঠে এবার দাদার দাদাগিরী কেমন চলে।