কয়েকদিন ধরেই গণমাধ্যমে নিয়মিত কথা বলছেন পাকিস্তানের এক সময়ের তারকা ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ। এই তো কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেছেন, স্বদেশী কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনিসের কারণে অল্পতে থেমেছে তার ক্যারিয়ার। এবার শেহজাদ দাবি করেছেন, সাত বছর আগে পাকিস্তান দলের অধিনায়ক হওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছিল তাকে।
শেহজাদ বলেছেন, ২০১৫ বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) তৎকালীন চেয়ারম্যান নজম শেঠীর সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা হয়েছিল তার। নজম নাকি শেহজাদকে বলেছেন, ভবিষ্যতে শেহজাদই হবেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
সাক্ষাতকারে শেহজাদ জানিয়েছেন, ‘আমার সঙ্গে নজম শেঠীর আলাপ হয়েছিল ২০১৫ বিশ্বকাপের ঠিক আগে। তখন তিনি আমাকে বলেছিলেন মিসবাহ উল হকের পর আমি পাকিস্তান দলের অধিনায়ক হিসেবে খুব ভালো পছন্দ হতে পারি। তিনি সরাসরি আমাকে বলেছিলেন, আমি মিসবাহ’র পর পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে বিবেচিত হব।’
তবে দলে আরো যোগ্য ক্রিকেটার থাকতে শেহজাদকে কেন অধিনায়ক করতে চেয়েছিলেন নজম, সেটাও জানিয়েছেন শেহজাদ। তিনি বলেন, ‘তিনি (নজম) মনে করতেন, আমি খুব ভালো গণমাধ্যম সামলাতে পারি। আমি ভালো কথা বলতে পারি। আমি বাইরের বিশ্বে পাকিস্তানের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরবে পারবো।’
ঘটনার স্মৃতিচারন করে শেহজাদ আরো বলেন ” নজম শেহজাদ আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি খুব সুন্দর। তোমার চেহারা, পোশাক-আশাক সবই দুর্দান্ত। তুমি বাইরের দুনিয়ায় পাকিস্তানের দারুণ একটা ইমেজ হতে পারো। পারফরম্যান্সও চমৎকার। তোমাকে অধিনায়ক করার একটা চিন্তাভাবনা আছে। তুমি সত্যিকার অর্থেই পাকিস্তান ক্রিকেটের সম্পদ। ২০১৫ বিশ্বকাপই মিসবাহর শেষ টুর্নামেন্ট। এরপর তুমি অধিনায়ক হতে পারো। সুতরাং তোমার আচার-আচরণ তেমনই হতে হবে।’
পাকিস্তানি গণমাধ্যমে একটি কথা চর্চা হয়ে থাকে, ভারতের বিরাট কোহলির মতো ব্যাটসম্যান হতে পারতেন শেহজাদ। বিষয়টি মানছেন শেহজাদও। এমনকি ‘পাকিস্তানের কোহলি’ হওয়ার মতো সবকিছু তার মধ্যে ছিল বলেও জানান শেহজাদ। তবে দলে যোগ্য নেতা এবং দিকনির্দেশনার অভাবেই সেটা করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন সাবেক এই ওপেনার। যেমনটা কোহলি পেয়েছেন।