২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সাল, সাকিব-তামিম-মুশফিকদের উত্থানের সময়ই বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন জেমি সিডন্স। দীর্ঘ সময় আবারো টাইগারদের দায়িত্ব সিডন্সের কাঁধে। তবে এবার শুধু ব্যাটিং পরামর্শক বা ব্যাটিং কোচ হিসেবেই। শুরুর সেই সাকিব, তামিম, মুশফিকরা আজ জাতীয় দলের সিনিয়র ক্যাম্পেইনার। দীর্ঘদিন থেকে চেনা এই শিষ্যদের নিয়ে এবার নিজের অভিমত জানালেন সিডন্স।
ক্যারিয়ারের অন্তিম লগনে এসে যেন সিনিয়র এই ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিচের দিকে নেমে না যায় সেই দিকেই মূল নজর দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান এই কোচ। সিডন্সের চাওয়া ক্যারিয়ারের শেষ সময়টা নিজের সেরা ফর্মে থেকেই কাটানো উচিত দলের সিনিয়র ক্যাম্পেইনারদের। ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন টিভি সম্প্রচারকদের সিডন্স বললেন, ‘সিনিয়র খেলোয়াড়দের জন্য আমার কাজটা হলো তাদের পথ সহজ করা। তাদের ক্যারিয়ারের শেষ ৩-৪ বছর অবশ্যই সেরা ফর্মে কাটানো উচিত। গ্রাফটা নিম্নমুখী হলে চলবে না। সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে তাদের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কাজ করা প্রয়োজন। আমরা সেগুলো নিয়েই কাজ করছি।’
একটা নখদন্তহীন ছিল বাংলাদেশের পেস ইউনিট। তবে বর্তমানে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে তাসকিন, শরিফুল, মুস্তাফিজরা। দীর্ঘ দশক পরে আবারো টাইগারদের কোচিং প্যানেলে আবার যুক্ত হওয়া সিডন্স মনে করেন পেস বোলিং ইউনিটে বেশ উন্নতি করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। সিডন্স বলেন, ‘আমার মনে হয় সবচেয়ে বড় বদলটা এসেছে পেস বোলারদের দিক থেকে। বাংলাদেশের এখন দুর্দান্ত কিছু পেসার রয়েছে। এটি বাংলাদেশকে আরও শক্তিশালী দল হিসেবে গড়ে তুলবে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বেশ ফুরফুরে মেজাজেই আছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত টাইগারদের ব্যাটিং অর্ডারের অন্যতম স্তম্ভ মুশফিক। তবে চলমান সিরিজের পূর্বে বেশ কঠিন সময় পার করেছেন এই ব্যাটসম্যান। মুশফিকের ফিরে আসার পেছনের গল্প জানাতে সিডন্স বলেন, ‘আমরা সৌভাগ্যবান যে চট্টগ্রামে বেশ ভালো ব্যাটিং উইকেট পেয়েছিলাম। মুশফিক চমৎকার খেলোয়াড়। তার ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি কিছু দরকার পড়ে না। আমরা তার প্রস্তুতিতে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনেছি, তার পা নিয়ে কিছু কাজ করেছি। যা যথেষ্ট মনে হয়েছে। চট্টগ্রামে সে নিজেই পথ খুঁজে নিয়েছে, দারুণ ব্যাট করেছে। আমি মনে করি, এই ম্যাচের সেঞ্চুরিটি তার অন্যতম সেরা ইনিংস।’