বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম দুই সুপারস্টার সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবাল। মাঠের ২২ গজ হোক কিংবা মাঠের বাইরে তাদের বন্ধুত্বের কথা কারও অজানা নয়। একটা সময় দুজনেই একে অপরকে সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু বলে সম্বোধন করতেন। কিন্তু সেই সুসম্পর্ক আর নেই তাদের মাঝে। চলছে দ্বন্দ্ব, সেই দ্বন্দ্ব ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশ দলের মধ্যেও। যা মেটাতে ব্যর্থ খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। আর তাদের মধ্যে ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণে জাতীয় দলে গ্রুপিংও হচ্ছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন স্বয়ং বিসিবি সভাপতি।
বছর খানেক আগে সাকিব একবার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন তাদের মধ্যে এখন আর কোনো বন্ধুত্ব নেই। এবার সেই বিষয়টি আরও স্পষ্ট করলেন বিসিবি সভাপতি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় দলের ‘ ওপেন সিক্রেট ‘ ফাঁস করেন তিনি। পাপন বলেন, ” ড্রেসিং রুমের পরিবেশ এখন আর স্বাস্থ্যকর নেই। আমি ওদের দুজনের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু সমাধানের চেষ্টা করেও কোনো লাভ হয়নি। এটা খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই না এর প্রভাব মাঠে ফেলুক। আমি তাদের বলেছি এর কোনো প্রভাব যেন মাঠে না পড়ে। যদিও তারা নিশ্চয়তা দিয়েছে এর প্রভাব মাঠে পড়বে না। কিন্তু তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ুক এটা আমরা চাই না। ”
পাপন আরো বলেন ” সাকিব – তামিমের মধ্যে মাঠে কথা হওয়াটা জরুরি। সামনে গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সিরিজ। আর ড্রেসিং রুমের পরিবেশ ভালো রাখার জন্য হলেও এটা দরকার। ড্রেসিং রুমের অবস্থাটা এখন খুবই বাজে। আর এই মুহুর্তে ওদের মধ্যে কথা হওয়াটা খুবই দরকারী। এই সিরিজ থেকে আমি পরিবর্তন চাই। সেটা ড্রেসিং রুমে অন্তত। তবে এর বাইরে তারা কী করবে এটা তাদের ব্যাপার। ”
বিসিবি সভাপতি যে ব্যাপারটা সবচেয়ে বেশি ভয় পান সেটি দলের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া দ্বন্দ্ব। জাতীয় দলের মধ্যে অনেকদিন ধরে এই দ্বন্দ্ব চলছে বলেও জানান পাপন। এই প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, ” বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গ্রুপিং, যে ব্যাপারটি আমি সবথেকে বেশি ভয় পাই। বিশ্বকাপের সময় আমি টিম হোটেলে ছিলাম না, কিন্তু আমি গ্রুপিং দেখেছি। এটি আমাকে অবাক করেছে। ভালো ভবিষ্যতের জন্য এটি অবশ্যই কাম্য নয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বন্ধ করতে হবে। “
এদিকে আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইংল্যান্ড সিরিজের আগেই প্রধান কোচ নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। সাকিব তামিমদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হাথুরুসিংহের ওপর। প্রথমবার অনেকটা ‘ কড়া হেডমাস্টার ‘ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন এই লঙ্কান কোচ। তবে কড়া এই হেডমাস্টার কি পারবেন দেশের দুই সুপারস্টারের মধ্যকার দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দলে স্বস্তির বাতাস ছড়িয়ে দিতে? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন।