চট্টগ্রামে জন্ম, চট্টগ্রামেই তার বেড়ে ওঠা। এখানেই টেস্ট দলে ডাক পাওয়া, টেস্ট ক্রিকেটে পা রেখেই ৫ উইকেট নেওয়া এবং এখানেই এবার তার টেস্ট ক্যারিয়ারের পুনরুজ্জীবন। ১৫ মাস পর টেস্ট খেলতে নেমেই ক্যারিয়ার সেরা বোলিংই উপহার দিলেন নাঈম হাসান।
২০১৮ সালে দুর্দান্ত অভিষেক, এরপর দল এবং চুক্তি থেকে বাদ পড়া, ইঞ্জুরির সাথে সংসার, চার বছরের ক্যারিয়ারে কত কিছুরই না মোকাবেলা করেছেন ডানহাতি এই স্পিনার। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর লঙ্কা সিরিজে আবারো ডাক পড়ে তার।
প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে নিষ্প্রভ ছিলেন নাঈম। প্রথমে দুর্দান্ত দুটি ডেলিভারিতে দুটি উইকেট তোলে নিলেও পরে প্রচুর রান খরচ করেন তিনি। তবে পরদিনই জ্বলে উঠলেন আপন মহিমায়। করলেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। দিনশেষে জানালেন বড় ভাই সাকিব আল হাসান আর স্পিন কোচের টোটকায়ই তার এমন প্রাপ্তি।
নাঈম বলেন, ‘প্রথম দিন আমি ওরকম ভালো বল করতে পারিনি, যেটা সত্যি কথা। মানে একটা জায়গায় রান আটকে রাখার মতো করতে পারিনি। গতকাল সাকিব ভাই, তাইজুল ভাইরা রান আটকে রাখছে। পরে সাকিব ভাই, কোচ ও সৌরভ ভাইদের (অধিনায়ক মুমিনুল) সঙ্গে কথা বলেছি, উইকেটের চাহিদা অনুযায়ী বল করার চেষ্টা করেছি। উইকেট আসলে খুব ভালো (ব্যাটিংয়ের জন্য)। ওখানে রান ছাড়া বল করার পরিকল্পনা ছিল, ভালো জায়গায় বল রাখা। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল আমার, উনি বলেছিলেন এটাই।’
চোটের কারণে মিরাজ ছিটকে যাওয়ায় এই সিরিজে ডাক আসে নাঈমের। প্রথম সুযোগেই নাঈম জানিয়ে দিলেন, দলে জায়গা পাওয়ার লড়াই এবার জমে উঠবে তুমুল।লম্বা সময় সুযোগ না পাওয়া নিয়ে তার মনে যা-ই থাকুক, মুখে অন্তত প্রকাশ নেই। মিরাজকেও তিনি প্রাপ্য কৃতিত্ব দিলেন চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে।
নাঈম বলেন, ‘আসলে সুযোগ দেওয়াটা টিম ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার। সুযোগ পেলে খেলাটা আমার দায়িত্ব। যদি আমাকে খেলায়, চেষ্টা থাকে শতভাগ ঢেলে দেওয়ার, ভালো খেলার। টিম ম্যানেজমেন্ট খেলাবে নাকি খেলাবে না, এটা তো উনাদের সিদ্ধান্ত।
ইনজুরির সময়টায় নিজেকে প্রস্তুত করছেন জানিয়ে এসময় নাঈম আরো বলেন ” তখন দলের সঙ্গে ছিলাম আমি, খেলার সুযোগ হয়নি। মিরাজ ভাই খুব ভালো খেলছিল, যেটা সত্যি কথা। ব্যাটিং, বোলিং ভালো করছিলেন, ওই জন্যই তো সুযোগ পাইনি। ইনজুরির সময় আমার চেষ্টা ছিল নিজেকে ধরে রাখার, অনুশীলন করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা, যেন যখন সুযোগ আসে তখন ভালো খেলতে পারি।’