Skip to main content

সনাথ জয়াসুরিয়ার কারনেই সেদিন প্রানে বেচে যান তার মা

Deshabandu Sanath Teran Jayasuriya, is a former Sri Lankan cricketer and captain, who is widely regarded as one of the greatest ever to play the game.

Because of Sanath Jayasuriya, his mother survived that day

২২ গজে তিনি বরাবরই নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে এসেছেন। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন বারংবার। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সাথে তিনি চুক্তিবদ্ধ হতেও অনীহা প্রকাশ করেন। এরপরই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।মাতারা হারিকেন মানেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট তথা পুরো ক্রিকেট দুনিয়ার কাছে একটি নাম – সনাথ জয়াসুরিয়া। 

কিন্ত জানেন কি?ছেলে জয়াসুরিয়া নামের কারণেই ২০০৪ সালের সুনামি থেকে বেঁচে যান তাঁর মা? ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরে প্রথম ধাক্কায় বিপদে পড়ে উদ্ধারের আসায় ছিলেন জয়াসুরিয়ার মা। উদ্ধারকর্মীরা জয়াসুরিয়ার মা জানতে পেরে সেখান থেকে সরিয়ে তাঁকে নিরাপদ আশ্র‍য়ে নিয়ে বিশেষ সেবা করেন। ভয়াবহ সেই সুনামিতে অনেকেই প্রাণ হারান। হাজার মানুষসহ জয়াসুরিয়ার কিছু কাছের বন্ধুরাও তেমন একটা সহযোগিতা পাননি।

সেই ঘটনা মনে করে জয়াসুরিয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন ‘এখনও অনেক মানুষ সুনামির নাম শুনলে ভয় পেয়ে যান। কিন্তু আমার মা যখন এটা শুনে সে এখনও আগের মতই দৌড়ান না। সাক্ষাৎকারে জয়াসুরিয়া আরো বলেন, ‘ক্রিকেটে না আসলে আমি হয়ত আমার এলাকায় ছোট কোনো চাকরি করতাম। আমার মা আমার নাম বলতে খুশি হয়।’

 জয়াসুরিয়া আধুনিক ক্রিকেটে যোগ করেছেন ভিন্ন এক মাত্রা। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে নব্বইয়ের দশকে টি-টোয়েন্টির আমেজ নিয়ে এসেছিলেন তিনি। পাওয়ারপ্লেতে প্রতিপক্ষের বোলারের উপর চড়াও হয়ে খেলাটাও শুরু করেছিলেন এই লঙ্কান তারকা। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে নিজেকে তিনি রেখে গেছেন সেরাদের কাতারে।

ক্রিকেট ছাড়ার পর যুক্ত হয়েছিলেন রাজনীতির সাথে। তবে এর বাইরেও চ্যারিটির হয়ে কাজ করেছেন তিনি। জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত হিসেবেও কাজ করেন এই লঙ্কান তারকা। ছোট শহর থেকে উঠে এসে ক্রিকেট দুনিয়ার এক বড় নক্ষত্র বনে যান জয়াসুরিয়া।

১৯৯১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক জয়াসুরিয়ার। ২২ গজে ব্যাট হাতে সবসময়ই দলের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে প্রায় চার বছর দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ড বাদে সব দলের বিপক্ষেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। এরপর ২০০৭ সালে সাদা পোশাককে বিদায় জানান এই তারকা।

শ্রীলঙ্কার ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এই ওপেনার। ২০০৫ সালে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ওয়ানডে ক্রিকেটে তিনি সর্বকালের সেরা তারকাদের একজন। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও নিজের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের ছাপ রেখেছেন এই তারকা। আইপিএলের প্রথম আসরেই তিনি ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

ক্যারিয়ারে এতদূর আসতে পারার পেছনে সবসময়ই পরিবার সহ কোচদের গুণকীর্তন গেয়েছেন মাতারা হারিকেন। এই লঙ্কান গ্রেট একবার বলেছিলেন, ‘আমার পরিবার, কোচ সবাই আমাকে বেশ সমর্থন করেছে। তাদের সমর্থন ছাড়া আমি এতদূর আসতে পারতাম না।’

সত্যিই তাই! সাধারণ এক জেলে পরিবারের ছেলের মাতারা হারিকেন হয়ে ওঠাটা সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়!

আরো আজকের ট্রেন্ডিং

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ইতিহাসে সেরা পাঁচ উইকেট-শিকারী: ঐতিহাসিক পর্যালোচনা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ২০১২ সালে শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি লিগটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি...

বিবিএল ২০২৪-২৫-এ সেরা বোলিং স্পেল: পেসার বনাম স্পিনাররা

বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) রোমাঞ্চকর ক্রিকেটিং অ্যাকশন নিয়ে আসে এবং বোলাররা প্রায়শই খেলা পরিবর্তনকারী হিসেবে আবির্ভূত হয়। ব্যাটাররা যখন লাইমলাইট দখল করে, বোলাররা ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে। পেসার এবং স্পিনারদের...

পরিবেশবান্ধব হচ্ছে ক্রিকেট: বিপিএল ২০২৫ এর স্থায়িত্ব উদ্যোগ প্রকাশিত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিকেট মঞ্চ হিসেবে পরিচিত, যেখানে সেরা খেলোয়াড়রা দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ভক্তদের রোমাঞ্চিত করে। কিন্তু যখন বিশ্ব আরও স্থায়ী ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন...

বিবিএল ২০২৪-২৫ সিজন ওপেনার: প্রথম কয়েকটি ম্যাচ থেকে কী আশা করা যায়?

বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) ২০২৪-২৫ তার ১৪ তম মরসুমে ফিরে এসেছে, উত্তেজনাপূর্ণ ক্রিকেট অ্যাকশনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। পার্থের দর্শনীয় অপটাস স্টেডিয়ামে মেলবোর্ন স্টারদের সাথে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পার্থ স্কোর্চার্সের সাথে ১৫ ডিসেম্বর,...