অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার স্বপ্ন নিয়ে গেলেও সেই স্বপ্ন পূরন হয়নি টিম ইন্ডিয়ার। এরপর থেকেই আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইয়ে গেছে ভারতের ক্রিকেটে। তবে সব ব্যর্থতা পেছনে ফেলে আবারো সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন টিম ইন্ডিয়া । দলের নতুন সেনাপতি হার্দিক পান্ডিয়া। তারই হাত ধরে এবার নতুন বছরে শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতল ভারত। ম্যাচশেষে হার্দিক যেন বার্তা দিলেন, টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার উপর আস্থা রেখে ভুল করেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
ভারতের মতো তারকাখচিত দলকে নেতৃত্ব দেওয়া, মোটেও চাট্টিখানি কথা নয়। নতুন বছরের প্রথম ম্যাচেই সেই গুরুদায়িত্ব দারুণভাবে পালন করেছেন হার্দিক। দলকে যেমন চাঙা রাখছেন, তেমনি নিজেও দারুনভাবে নেতৃত্ব দিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে হার্দিক বলেন, ” দারুন উত্তেজনা পূর্ণ একটি ম্যাচ গেলো। শেষ পর্যন্ত জয় পেয়ে ভালো লাগছে, এখন নিজের ওপর শতভাগ বিশ্বাস রেখে বলতে পারি, ‘ক্যাপ্টেন’ ডাকটা বেশ ভালো লাগছে। নিজেকে সত্যি সত্যিই ভারতের ‘ক্যাপ্টেন’ মনে হচ্ছে। বছরের শুরুটা দারুন হয়েছে, এভাবেই এগিয়ে যেতে যাই “।
যদিও ম্যাচের কিছু সময় হার্দিকের শরীরী ভাষা দেখে, অনেকেই চিন্তিত হয়ে পড়ে। সমর্থকদের মনে এমন প্রশ্নও জাগে, ফের চোটে পড়লেন না তো টিম ইন্ডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এই ক্রিকেটার? সেই বিষয়টাও ম্যাচশেষে খোলাসা করেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। হার্দিক বলেন, ” আমার কোন ইনজুরির সমস্যা নেই। মাঠে আমি যতক্ষণ হাসবো, ততক্ষণ কোনো চিন্তা নেই। সবাইকে একটু ভয় পাইয়ে দেওয়ার জন্য দুঃখিত। আমি আসলে সম্পূর্ণ ফিট আছি। “
শ্রীলংকার বিপক্ষে জয় এনে দেওয়ার অন্যতম কারিগর শিভাম মাভির প্রশংসাও করলেন হার্দিক । ম্যাচে ৪ উইকেট শিকার করা এই বোলারকে নিয়ে হার্দিক বলেন, ” মাভি দারুন এক প্রতিভা। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ওকে আমি কাছ থেকে দেখেছি। ওর প্রতি আস্থা আছে, আমি জানি সে সুযোগ পেলে নিজেকে মেলে ধরতে পারে। তাই ওকে বলেছি, দুঃশ্চিন্তা না করে নিজের ইচ্ছামতো বল করতে। অধিনায়ক হিসেবে ওকে ভরশা দিয়েছি, সাহস দিয়েছি। শেষ পর্যন্ত ও নিজেকে প্রমান করল, মাভি দারুণভাবে সফল হয়ে গেল। “
অবশ্য এই জয়ের ফলে, অধিনায়ক হিসেবে নিজের জায়গাটা পাকাপোক্ত করার দাবি জানিয়ে রাখলেন হার্দিক। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আস্থার নামও এখন এই অলরাউন্ডার। ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও একঝাঁক তরুণে ভরা দল পাঠানের পরিকল্পনা করছে ভারতীয় বোর্ড। সেক্ষেত্রে গুঞ্জন আছে রোহিত শর্মাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দিয়ে, হার্দিকের নেতৃত্বে খেলতে চায় ভারত।