অস্ট্রেলিয়া তথা বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা কিংবদন্তিদের একজন ছিলেন শেন ওয়ার্ন। খেলোয়াড়ি জীবনে জিতেছেন বহু পুরস্কার, সম্মাননা আর দর্শকের ভালোবাসা। এরমধ্যে ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের পুরস্কার ওঠে সাবেক এই লেগ স্পিনারের হাতে। কিন্তু তিনি এখন আর বেঁচে নেই। তবে ওয়ার্নের প্রতি সম্মান জানিয়ে তিনি যেন না থেকেও ক্রিকেট প্রেমিদের মনে থাকেন সেই ব্যবস্থা করল অজি ক্রিকেট বোর্ড৷ ওয়ার্নের স্মৃতিকে ধরে রাখতে তার নামেই পুরস্কার চালু করল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড।
এতদিন ধরে দিয়ে আসা ” মেন‘স টেস্ট ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার ” নামের পুরস্কারটির নাম পরিবর্তন করে, এবার ” শেন ওয়ার্ন মেন‘স টেস্ট ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার ” করল অস্ট্রেলিয়া। ঐতিহাসিক মেলবোর্নে চলমান বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিন আনুষ্ঠানিকভাবে এই নাম ঘোষণা দেন, দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিক হকলি এবং ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী টড গ্রীনবার্গ।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া মনে করছে, এত বড় একজন কিংবদন্তি এই সম্মানটা প্রাপ্য। যে কারণে ওয়ার্নের নামেই এই পুরস্কারের নামকরণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে হকলি বলেন, ” ওয়ার্ন দেশকে অনেক দিয়েছে, এমন একটি স্বীকৃতি তাই তার প্রাপ্য ছিল। আমরা এখন সেটাই দিয়েছি তাকে। সে সর্বকালের সেরাদের একজন। ক্রিকেটে তার কীর্তি এবং অবদান অবিস্মরণীয়। এবার সেই অবদানকে আজীবন সম্মানিত করা হয়েছে।আশাকরি অনন্তলোকে বসে ওয়ার্ন খুশিই হবে “
অস্ট্রেলিয়ার মতো অভিজাত ক্রিকেট জাতির কাছে একটি পুরস্কার কতটা সম্মানের, তা কেবল যারা পান তারাই জানেন। দেশটিতে ক্রিকেট বিভাগে সবচেয়ে বড় পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বর্ষসেরা হিসেবে ” অ্যালান বোর্ডার মেডেল “। তার পরেই আছে টেস্ট ক্রিকেটেরটা। অর্থাৎ মর্যাদার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে আছে ” শেন ওয়ার্ন মেন‘স টেস্ট ক্রিকেটার অব দ্য ইয়ার ” পুরস্কারটি।
এবছর এই পুরস্কার পেতে পারেন, এমন তিনজন অজি ক্রিকেটার হলেন – মার্নাস লাবুশানে, উসমান খাওয়াজা এবং নাথায় লায়ন। সাদা পোশাকে বছরজুড়ে তিনজনেই ব্যাটে – বলে আলো ছড়িয়ে গেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত দেখার অপেক্ষা, কার হাতে উঠে এই পুরস্কার! আগামী ৩০ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে বিজয়ীর নাম। উল্লেখ্য, গত বছর এই পুরস্কার জিতেছেন ট্রাভিস হেড।