শুধু সৌরভ গাঙ্গুলীই নন, ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে গ্রেগ চ্যাপেল অধ্যায় ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল তখনকার দলের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার যুবরাজ সিংয়ের ক্যারিয়ারেও। যুবরাজের দাবী, ২০০৭ সালে অধিনায়কত্ব পাওয়ার যোগ্য দাবীদার হয়েও অধিনায়কত্ব পাওয়া হয়নি তার। তখন ভারতীয় জাতীয় দলের অধিনায়ক করা হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার।
যুবরাজের দাবী, তখন দলের সিনিয়র সদস্য শচীন টেন্ডুলকারের সাথে গ্রেগ চ্যাপেলের মত বিরোধ চলছিল। তখন যুবরাজের কাছে দুটি বিকল্প ছিল। হয় সতীর্থকে সমর্থন করতে হবে না হয় চ্যাপেলকে। এমন অবস্থায় সতীর্থকেই বেছে নেন যুবরাজ। আর এতেই নাকি ক্ষেপে যান বোর্ডের অনেক কর্তাব্যক্তিরাও।
সম্প্রতি সঞ্জয় মাঞ্জরেকারকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেন, ‘আমি অধিনায়ক হতে চেয়েছিলাম, তখন গ্রেগ চ্যাপেল এবং শচীন টেন্ডুলকরের মধ্যে বিবাদ হয়েছিল, যেটিতে আমি সচিনকে সমর্থন করেছিলাম। বিসিসিআই’র কিছু কর্তা এই বিষয়টি পছন্দ করেননি। আমি শুনেছিলাম যে ওরা যে কাউকে অধিনায়ক করতে প্রস্তুত ছিল, কিন্তু আমাকে নয়।’
শুধু তাই নয়, তখন দলের সহ অধিনায়কের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয় যুবরাজ সিংকে। যুবরাজ বলেন, ‘২০০৭ সালের ইংল্যান্ড সফরে বীরেন্দ্র শেবাগের মত সিনিয়র ক্রিকেটার দলে ছিলেন না। সেই সময় আমি ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক ছিলাম এবং রাহুল দ্রাবিড় ছিলেন অধিনায়ক। ওয়ানডে দলের সহ অধিনায়ক হওয়ার কারণে আমি ভেবেছিলাম যে আমি অধিনায়ক হব, কিন্তু হঠাৎ আমাকে সহ-অধিনায়কের পদ থেকেও বাদ দেওয়া হল। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে হঠাৎ করে অধিনায়ক করা হয়েছিল।’
তবে ২০০৭ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনির কাঁধে দায়িত্ব তুলে দিয়ে, বোর্ড যে ভুল করেনি সেটা বলা যায় । কেননা, এরপর ধোনির নেতৃত্বেই দুইটি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত। তাছাড়া ভারতের অন্যতম সফল অধিনায়ক হিসেবেও ধোনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন।
যদিও অধিনায়ক না হতে পারা নিয়ে এখন কোনও আক্ষেপ নেই যুবরাজ সিংয়ের। জাতীয় দলে যুবরাজ অধিনায়ক হতে না পারলেও ২০০৭ ও ২০১১ সালে দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি ২০১১ বিশ্বকাপে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট ও হয়েছেন এই সাবেক অলরাউন্ডার।