আইসিসি মেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ এর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের (১০৮ উইকেট) রেকর্ডটি নিজের দখলে নিয়ে নিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এর আগে শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি পেসার লাসিথ মালিঙ্গা ১০৭ উইকেট নিয়ে রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখে দিয়েছিলেন।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ উইকেট নিয়ে গতকাল মাঠে খেলতে নামেন সাকিব। আইসিসি মেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ এর উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে বোলিং করতে নেমে ইনিংসের ১১তম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন এই অলরাউন্ডার।
স্কটল্যান্ডের রিচি বেরিংটনের উইকেট তুলে নিয়ে মালিঙ্গার পাশে বসেন সাকিব। এরপর মাইকেল লিস্ক-এর উইকেট তুলে নিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েন তিনি। এখন তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ১০৮ উইকেট।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আইপিএল ২০২১ এর ফাইনালেও পাননি উইকেটের দেখা। কিন্তু বিশ্বকাপের মাঠে যথারীতি স্বরুপে ফিরেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
২০০৬ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথম উইকেটটি শিকার করেছিলেন সাকিব। এরপর ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪২টি ম্যাচ খেলে প্রথম ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন। ৫০ উইকেট পেতেও তাঁর খেলতে হয়েছে ৪২ ম্যাচ। তবে পরের ৫০ উইকেট পেতে সাকিবের লেগেছে মাত্র ৫ বছর।
সাকিব-মালিঙ্গা ছাড়া আর কেউই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে একশো উইকেট শিকার করতে পারেননি। তবে খুব কাছেই রয়েছেন আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান। তিনি মাত্র ৫১ ম্যাচে নিয়েছেন ৯৫টি উইকেট। এবারের বিশ্বকাপেই হয়তো উইকেটের সেঞ্চুরি হবে তার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি
১. সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ) – ৮৯ ম্যাচে ১০৮ উইকেট, সেরা বোলিং ৫/২০
২. লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা) – ৮৪ ম্যাচে ১০৭ উইকেট, সেরা বোলিং ৫/৬
৩. টিম সাউদি (নিউজিল্যান্ড) – ৮৩ ম্যাচে ৯৯ উইকেট, সেরা বোলিং ৫/১৮
৪. শহিদ আফ্রিদি (পাকিস্তান) – ৯৯ ম্যাচে ৯৮ উইকেট, সেরা বোলিং ৪/১১
৫. রশিদ খান (আফগানিস্তান) – ৫১ ম্যাচে ৯৫ উইকেট, সেরা বোলিং ৫/৩
ক্রিকেটের আরও সর্বশেষ খবর জানতে, Baji -তে চোখ রাখুন!