পার পেলেন না নেপালের জাতীয় দলের ক্রিকেটার সন্দীপ লামিচানে। ধর্ষনে অভিযুক্ত এই ক্রিকেটারকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলো আদালত। নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু জেলা আদালত এই নির্দেশ দেয়।
গত মাসে লামিচানের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ করেছিলেন ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী। লামিচানের ভক্ত হিসেবে পরিচয় দেয়া ঐ কিশোরী দাবী করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথোপকথনের পর একসময় তারা দেখা করেন। দেখা করায় রাত আটটা বেজে গেলে ওই কিশোরীর হোস্টেল বন্ধ হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই লামিচানের সঙ্গে হোটেলে রাত কাটান তিনি । ওই কিশোরী আলাদা রুমে থাকতে চাইলেও লামিচানের কথায় তাকে একঘরে রাত কাটাতে হয়। আর সেখানেই নাকি লামিচানে কতৃক দুইবার ধর্ষনের শিকার হন ঐ কিশোরী।
তবে ওই ঘটনার পরের দিনই সিপিএল খেলার জন্য দেশ ছেড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যান লামিচানেকে। তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। তবে গত ৬ অক্টোবর সিপিএল খেলে দেশে ফিরেন লামিচানে। তখন ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ইতোমধ্যেই এই ঘটনা ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন ঘটনা প্রমাণিত হলে লামিচানেকে যেন কঠোর সাজা দেয়া হয়। কেউ আবার বলছেন ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে লামিচানে ক্রিকেটারদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।
লামিচানে অবশ্য তদন্তে পুলিশকে সহোযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। দেশে পা রাখার আগে টুইটারে এক টুইটে তিনি লিখেছিলেন, “খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে আমি যাচ্ছি। যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে তা কল্পনাই করতে পারছি না। আশা করব আমাদের আইনি ব্যবস্থায় নিশ্চয়ই কোনও উপায় থাকবে এক জন নির্দোষকে তার সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া হবে । আমি সঠিক বিচার পাব এবং আবার ক্রিকেট মাঠে ফিরব। দেশের নাম উজ্জ্বল করার জন্য চাইব খুব তাড়াতাড়ি শুনানি হোক।“
উল্লেখ্য, লামিচানে একমাত্র নেপালি ক্রিকেটার যিনি আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেও খেলেছেন তিনি। ২০২১ সালে নেপালের জাতীয় দলের অধিনায়কও করা হয় তাকে।অবশ্য ধর্ষনের অভিযোগ ওঠার পর তাকে বরখাস্ত করা হয় নেপাল ক্রিকেট থেকে।কয়েক দিনের মধ্যে জানা যাবে কি আছে এই ক্রিকেটারের ভাগ্যে।