পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) এখন ব্যাপক রদবদলের ছোয়া লেগেছে। মূলত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরেই বোর্ড সভাপতি থেকে শুরু করে প্রধান নির্বাচক, সবকিছুই ছেটে ফেলে দেশটি। দলেও আসল পরিবর্তনের ছোঁয়া। শহিদ আফ্রিদি প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়েই টেস্ট দলে ডেকে নিলেন সরফরাজ আহমেদকে। আর তাতে কপাল পুড়ল মোহাম্মদ রিজওয়ানের।
লম্বা সময় ধরে পাকিস্তানের নিয়মিত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রিজওয়ান। সাদা বলের ক্রিকেটে যথেষ্ট সাফল্যও পেয়েছেন এই ডানহাতি টপ অর্ডার। তবে সাদা পোশাকে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেনি তার ব্যাট। সর্বশেষ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজেও চরম ব্যর্থ তিনি। তিন টেস্টের ৬ ইনিংস থেকে করেছেন, সর্বসাকুল্যে ১৪১ রান। নেই কোনো অর্ধশতক।
আর তাতেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাকে খেলানোর সাহস করলেন না আফ্রিদি। তার জায়গায় বরং অভিজ্ঞ সরফরাজের ব্যাটেই আস্থা রেখেছেন প্রধান নির্বাচক। আর সেই আস্থার প্রতিদানটা বেশ ভালোভাবেই দিলেন সরফরাজ। করাচি টেস্টে যখন দলের ব্যাটিং বিপর্যয়, তখনই হাল ধরলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। অল্পের জন্য শতকের দেখা পাননি। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ৮৬ রান।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৯ সালে টেস্ট খেলেছেন সরফরাজ। প্রায় ৪ বছর পর সাদা পোশাকে ফেরা, তাও আবার টপ অর্ডারের ব্যর্থতা সামলানোর দায়িত্ব এসে পড়লো কাঁধে। ঠিক এমন সময়ে ঠান্ডা মাথায় খেলে গেলেন তিনি। লম্বা সময় ক্রিজে থেকে বল মোকাবেলা করেছেন ১৫৩টি। অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ১৯৬ রানের জুটিও গড়েছেন সরফরাজ। তারই সুবাদে ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান।
এমন রাজসিক প্রত্যাবর্তনে সকলের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন সরফরাজ। সেইসাথে ধুকতে থাকা পাকিস্তানের মিডল অর্ডারেও মিললো একরাশ স্বস্তি। ৩৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানের চ্যালেঞ্জ এখন, ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। এখন পর্যন্ত ৫০ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়াটা অবশ্য বেশ সমৃদ্ধ বলা যাবে না। যেখানে ১৯টি অর্ধশতকের সঙ্গে শতক আছে মাত্র ৩টি। ৮৭ ইনিংস থেকে রান করেছেন মোট ২৭৪৩।