বরাবরেই রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল দেশ পাকিস্তান। কয়েকদিন পরপর দেশটির রাজনৈতিক ক্ষমতার বদল হতে দেখা যায়। যার প্রভাব পড়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডেও (পিসিবি)। সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশটির ক্রিকেট পরিচালকদেরও পরিবর্তন হয়। যা কিনা ক্রিকেটের জন্য বিরাট ক্ষতি। তাই ক্রিকেট উন্নয়নের স্বার্থে পরিপূর্ণ রাজনীতিমুক্ত পিসিবি চান দেশটির সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি।
সম্প্রতি পাকিস্তানের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন ঘটেছে। ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ফলে পিসিবি সভাপতির পদ হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, শীঘ্রই পদ হারাতে পারেন রমিজ রাজা। এর আগে রমিজ রাজাকে বোর্ড সভাপতির পদে আসীন করেছিলেন সাবেক ক্রিকেটার ও প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
সেই খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে নতুন লোক বসবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির চেয়ারে। সেই সাথে বাতিল হওয়ার শঙ্কায় পড়ে যাবে রমিজের প্রস্তাবিত উন্নয়ন প্রকল্পগুলো। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পাকিস্তান ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার কাজ শুরু করেছিলেন রমিজ। একের পর এক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়ে ইতোমধ্যেই ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি।
এদিকে নতুন লোকের আগমন ঘটলে সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যেটি উপলব্ধি করেছেন দেশটির সাবেক তারকা শহীদ আফ্রিদিও। স্বাধীন ক্রিকেট বোর্ডের দাবি জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘আমি মনে করি, সরকারের কাছ থেকে পিসিবি স্বাধীন হওয়া উচিৎ। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিইও নির্ধারনে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকাই ভালো। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও নিজস্ব নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা দরকার।’
পাকিস্তানে রাজনীতি এবং ক্রিকেট একটি আরেকটির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পদাধিকার বলে পিসিবির চিপ প্যাট্রন হয়ে থাকেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। তাই সরকার পরিবর্তনের ফলে ক্রিকেট বোর্ডের নেতৃত্বও পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পাকিস্তান ক্রিকেটের ওপর।
এ নিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘এ কারণেই পাকিস্তান ক্রিকেট নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বিভাগগুলোর বড় ভূমিকা আছে। কিন্তু বোর্ড যদি নতুন কোনো ব্যবস্থা চালু করে থাকে, তাহলে এখনই পরীক্ষা করার জন্য উপযুক্ত সময় দেওয়া উচিৎ।’