এ যেন এলেন, দেখলেন আর জয় করে নিলেন। প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্বের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলে আবির্ভাব গুজরাট টাইটান্সের। টুর্ণামেন্টে অংশ নিয়েই হার্দিক পান্ডিয়ার দলের শিরোপা জয়। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে হার্দিককে যেন এক নতুন রূপে আবিষ্কার করেছেন সবাই।
আইপিএলের ইতিহাসের প্রথম অধিনায়ক যিনি জাতীয় দলকে কখনো নেতৃত্ব দেন নি। তবু্ও নিজ নেতৃত্ব গুণে দলকে করেছেন চ্যাম্পিয়ন। পুরো টুর্ণামেন্ট জুড়ে তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
আইপিএলে নিজের নৈপুণ্যে দলকে চ্যাম্পিয়নের মুকট পরিয়ে এবার হার্দিকের লক্ষ্য জাতীয় দল। শিরোপা জয়ের পরে এক প্রশ্নের জবাবে হার্দিক বলেন, নিজের সবকিছু নিংড়ে দিয়ে হলেও যে কোনো মূল্যে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জিততে চান তিনি।
হার্দিক বলেন, ‘আমার যা কিছু আছে সবটাই উজাড় করে দেব। দল হলো সবার আগে। আমার জন্য সহজ লক্ষ্যটা হলো, দল যেন আমার কাছ থেকে বেশিটা পায়, এটা নিশ্চিত করা। দেশের প্রতিনিধিত্ব করা সব সময়ই আনন্দের। যা–ই হোক না কেন, আমি বিশ্বকাপ জিততে চাই।’
আইপিএলের পনেরোটি মৌসুমের মধ্যে পাঁচটি আসরেরই ফাইনালে খেলেছেন হার্দিক। পাঁচটিতেই শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছেন। আইপিএল ট্রফি অনেকবার স্পর্শ করার সুযোগ হলেও এবারই প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি উঁচিয়ে উল্লাস করার সুযোগ হয়েছে হার্দিকের।
পাঁচবার শিরোপা জেতা পান্ডিয়া নিজেকে ভাগ্যবান বলেই মনে করেন, ‘আমি পাঁচটি ফাইনাল খেলেছি এবং পাঁচবারই ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছি, এ জন্য আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি।’
পিঠের চোটের কারণে আইপিএলের গত দুই আসরে বোলিং না করলেও এবারের আসরে পার্ট টাইম বোলার হিসেবে বোলিং করেছেন হার্দিক। আইপিএলের ১৫ ম্যাচে চার অর্ধশতকে ৪৮৭ রান করেছেন পান্ডিয়া। ম্যাচপ্রতি ৪৪.২৭ গড়ে ১৩১.২৬ স্ট্রাইক রেটও ঈর্ষণীয়। পাশাপাশি বল হাতে নিয়েছেন ৮ উইকেট।