বিপিএলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ চলছিল মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আর এই ম্যাচে ঘটে গেল এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ম্যাচ চলাকালীন হঠাৎই অন্ধকারে ছেয়ে যায় গোটা স্টেডিয়াম। ফ্লাড লাইটসহ চলে যায় মাঠের সব আলো। ম্যাচ চলাকালীন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় খেলা বন্ধও থাকে বেশ কিছু সময়। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এমন কান্ডে আবারো সমালোচনার মুখে পড়েছে বিপিএল। বিসিবিকে কাঠগড়ায় দাড় করাচ্ছে ক্রিকেট ভক্তরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিপিএলে মুখোমুখি হয় ফরচুন বরিশাল এবং খুলনা টাইগার্স। ম্যাচের তখন দ্বিতীয় ওভারের খেলা চলছে। ব্যাটিংয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বল করছিলেন শফিকুল ইসলাম। একটি ওয়াইড ডেলিভারি করার পর আবার বল হাতে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন শফিকুল। আর ঠিক সেই সময় চলে যায় মাঠের সব আলো। বিপিএলে এমন কান্ড নতুন নয়। এর আগেও এরকম হয়েছে৷
হঠাৎ আলো চলে যাওয়ায় মাঠ ছাড়েন ক্রিকেটার এবং আম্পায়াররা। ডাগআউটের সামনে জড়ো হন তারা। মাঠে উপস্থিত দর্শকরা ফোনের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে অন্ধকার দূর করার চেষ্টা করেন। এর এক মিনিটের কাছাকাছি সময়ের পর আলো জ্বলে ওঠে বিসিবি অফিসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রেস বক্সেও ফিরে আসে আলো। প্রেস বক্সে আলো আসলেও ফ্লাড লাইট জ্বলে উঠতে প্রায় ছয় মিনিট সময় নেয়। এক এক করে সব গুলো লাইট জ্বলার পর আবার শুরু হয় খেলা। সব মিলিয়ে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় ১০ মিনিটের একটু বেশি।
উল্লেখ্য, ম্যাচ চলাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার এর আগেও হয়েছে ক্রিকেটাররা। ২০১৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ের ম্যাচ অন্ধকারের কবলে পড়ে। সেইবার ও শের – ই – বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঘটে এই ঘটনা। এর আগে ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ ফাইনালেও দেখা যায় একই সমস্যা। চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে আলো চলে যাওয়ার কারণে ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন।
এদিকে ম্যাচটিতে খুলনার বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাটিং শুরু করে বরিশাল। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হলেও সেদিন তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। তার পরিবর্তে মেহেদী হাসান মিরাজকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।তবে সবকিছু ছাপিয়ে আলোচনায় ম্যাচের বিদ্যুৎ বিভ্রাট। মাঝেমধ্যেই মাঠের মধ্যে এমন কান্ড ঘটার পরেও বিসিবি কেন আরো বেশি সতর্ক হয়না? এমন প্রশ্নই ঘুরেফিরে বারবার আসছে বাংলাদেশের ক্রিকেটে।