সাউথ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল ডিরেক্টর গ্রায়েম স্মিথের বিশেষ সুবিধায় নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও সাউথ আফ্রিকার প্রধান কোচের দায়িত্ব পাওয়ার। বাউচারের বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। অবশেষে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা রোববার জানিয়েছে বাউচার তার চুক্তির পূর্ণ মেয়াদ শেষ করবেন। তাই ২০২৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর পর্যন্ত সাউথ আফ্রিকার কোচের দায়িত্বে বহাল থাকছেন বাউচার।
সাউথ আফ্রিকার প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান বাউচারের বিরুদ্ধে বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ এনেছিলেন তারই প্রাক্তন সতীর্থ পল অ্যাডামস। প্রাক্তন স্পিনার অ্যাডমস অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে জাতীয় দলে যে ক্রিকেটাররা বিকৃত নামে’ ডাকতেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাউচারও। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন সহকারী কোচ এনোক এনকোউই-ও বাউচারের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণের অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও বাউচার দু’টি অভিযোগই অস্বীকার করেছিলেন। অবশেষে পুরোপুরি ভাবে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ থেকে তাঁকে মুক্তি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড।
জাস্টিস অ্যান্ড নেশন বিল্ডিং (এসজেএন) বিভাগ বোর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু প্রাক্তন ক্রিকেটারে বিরুদ্ধে বর্ণবাদ নিয়ে অভিযোগ তুলেছিল। সেই তালিকায় ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মার্ক বাউচার এবং প্রাক্তন অধিনায়ক এবি ডি’ভিলিয়ার্স এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষকর্তা স্মিথ।
এই ঘটনার পর ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ারম্যান লাওসন নাইদো দেশের সবাইকে বাউচার ও ক্রিকেট দলকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বাউচারের বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা বাউচারকে নিয়ে সামনে এগোতে চাই। আশা করছি দেশের সবাই আমাদের ক্রিকেট দলের সঙ্গে থাকবে এবং আগের মতো সমর্থন দিয়ে যাবে। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের দলের সক্ষমতা রয়েছে সব ফরম্যাটের শীর্ষে পৌঁছানোর, সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করার।’
ডুমিসা এনটাসেবেজার নেতৃত্বাধীন এসজেএন কমিশন গত বছরের ডিসেম্বরে তার ২৩৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে স্মিথ ও বর্তমান প্রধান কোচ মার্ক বাউচার এবং প্রাক্তন অধিনায়ক এবি ডি’ভিলিয়ার্সকে জাতিগত বৈষম্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছিল। এর পরেই সিএসএ আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করে। স্মিথ আগেই অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। পরবর্তীতে মুক্তি পেলেন বাউচার।