কিছুদিন আগেও ইংল্যান্ডের জার্সিতে নেতৃত্ব দেওয়া এউইন মরগান এখন সদ্য সাবেক। বর্তমানে মাইক্রোফোন হাতে দেখা মিলছে তার। উপস্থাপক হয়ে মরগান কথা বলেছেন সাবেক দুই সতীর্থ মঈন আলী এবং আদিল রশিদের সঙ্গে। কয়েকদিন আগে পবিত্র হজ্ব করেছেন আদিল, এর আগে হজ্ব করেছেন মঈনও।
তারা দুজনেই নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং মরগানের ভরশার কথাও স্বীকার করলেন । মঈনের কাছে মরগান জানতে চান, ধর্মটা আসলে কেমন? জবাবে মঈন বলেছেন, ‘আমাদের কাছে এটা সবকিছু। ইসলাম আমার জীবনে সবকিছুর চেয়ে এগিয়ে। শুধু আমার না। পরিবারের সবার কাছে। কিন্তু এটা আমাদের অন্য কিছুতে লয়্যালিটি কমায় না। ইসলাম আমাদের ব্যক্তিগত পছন্দ।‘
এরপর হজ্বের কথা জানতে চাইলে মঈন বলেন, ‘হজ্ব ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। আমরা ক্রিকেটার হিসেবে আমরা অনেকের কাছে রোল মডেল। মুসলমানদের কাছে রোল মডেল হচ্ছে আমাদের নবী (সাঃ)। ইব্রাহিম (আঃ) ও তার পরিবার যে ত্যাগ করেছেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমরা এটা করি।‘
নিজের হজ্ব পালন করতে গিয়ে ইসলামের ভ্রাতৃত্ব নিয়ে মঈন আরো জানান, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিজ্ঞতা, মাত্র ২১ বছর বয়সে হজ্ব করতে পারা। সব মুসলমান একই কাপড় পড়ে থাকে। তাই এখানে ধনী–গরীবের কোনো ব্যবধান থাকে না। হজ্ব আপনাকে ধৈর্য শেখাবে। এটা জীবনের সবকিছু বদলে দেবে।‘
এরপর কয়েকদিন আগে হজ্ব করে আসা আদিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি মরগানকে বলেন ‘অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। মুসলমান হিসেবে আর্থিক, শারীরিক ও মানসিক সামর্থ্য থাকলে এটা করতেই হবে। আমি অনেকদিন ধরেই করতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু ক্রিকেট খেলার কারনে হজ্ব করা কিছুটা কঠিন ছিল। তবে ইসিবি ও ইয়র্কশায়ার আমার জন্য এটাকে সহজ করে দিয়েছে।‘
সবার সমর্থন কেমন পেয়েছ? মরগানের এমন প্রশ্নের জবাবে আদিল বলেন, ‘শতভাগ। আমি যখন হজ্ব নিয়ে প্রথমে ভাবি, এরপর ইসিবি, ইয়র্কশায়ার এবং তোমার সঙ্গেও কথা বলি। সবার কাছ থেকে যে সমর্থন পেয়েছি, অসাধারণ। যেটা আমার জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ ছিল। সবাই বলেছে, যেটা তোমার দরকার, সেটা কর।‘