আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বোর্ডার – গাভাস্কার সিরিজ। চার ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজটি এবার অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে। সর্বশেষ এই সিরিজে জেতা দলটির নামও ভারত। সেই হিসেবে শিরোপা উদ্ধারের জন্যই ভারতে পা রাখবে অস্ট্রেলিয়া। আর এই সফরে অজিদের ভুগতে হতে পারে বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ক্রিকেটার ইয়ান হিলি। সফরকারীদের জন্য কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ না রাখার জন্য এই ব্যাপারটা অস্ট্রেলিয়াকে বিপদে ফেলতে পারে বলে আশংকা করছেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন ইয়ান হিলি।
এক দেশ থেকে আরেক দেশে খেলতে গেলেই কন্ডিশন একটি ব্যাপায় হয়ে দাঁড়ায়। নতুন জায়গা, নতুন উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই খেলোয়াড়দের পারফর্ম করতে হয়। সেক্ষেত্রে অজিরা আসছেন এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে। সুদূর তাসমান পাড় থেকে এশিয়ায়। স্বাভাবিকভাবে মূল লড়াইয়ে নামার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে, প্রস্তুতি ম্যাচের বিকল্প নেই। কিন্ত সেটাই পাচ্ছেনা অজিরা। এটাই মাঠের ২২ গজের লড়াইয়ে প্রভাব ফেলতে পারেন বলে মনে করেন হিলি।
ভারত সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ না থাকায়, তাই এক প্রকার শঙ্কাই প্রকাশ করেছেন হিলি। সাবেক এই অজি কিংবদন্তির মতে, বেঞ্চ ক্রিকেটারদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগটা অন্তত পাওয়া উচিৎ সফরকারীদের। এ প্রসঙ্গে হিলি বলেন, ” এটি (প্রস্তুতি ম্যাচ না থাকা) নিয়ে আমি কিছুটা চিন্তিত। সফরকারী হিসেবে অজিদের অবশ্যই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা উচিৎ। ভারতের স্থানীয় কোনো ক্লাবের সঙ্গে হলেও ম্যাচ খেলাটা দরকার। নতুবা তাদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হতে পারে৷ আর এর প্রভাব দেখা যেতে পারে ম্যাচের আসল লড়াইয়ে। “
তবে স্বস্তির বার্তাও দিলেন হিলি। তার মতে, উসমান খাজাদের মতো ব্যাটসম্যান ভারতের মাটিতে ভালো করবেন। সেক্ষেত্রে তাদের জন্য প্রস্তুতি ম্যাচ না থাকলেও খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলেও মনে করেন তিনি। সাবেক অজি উইকেটরক্ষক আরো বলেন, ” খাজা সহজাত ব্যাটসম্যান। সে স্পিনটা ভালো খেলতে পারে। তাই সে ভারতে ভালো করবে। তার মতো অন্যারাও ভালো করতে পারে। “
অবশ্য হিলির মতো একই কথা জানিয়েছেন খাজাও। সম্প্রতি অজি ব্যাটসম্যান জানান, প্রস্তুতি ম্যাচ না থাকাটা কোনো প্রভাব ফেলবে না। একইসাথে তিনি জানান, প্রস্তুতি ম্যাচ এবং মূল ম্যাচের উইকেটের মধ্যে বড় পার্থক্যের কথা। এজন্য এটার গুরুত্ব দেখছেন না খাজা। এদিকে ঘুরে ঘুরে মোট চারটি ভেন্যুতে এই সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ভারতের নাগপুর, দিল্লী, ধর্মশালা এবং আহমেদাবাদে।