BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

ক্রিকেট হাইলাইটস, ২৩ অক্টোবর: আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২২ – ম্যাচ ১৬ (ভারত বনাম পাকিস্তান)

ক্রিকেট হাইলাইটস, ২৩ অক্টোবর: আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২২ – ম্যাচ ১৬ (ভারত বনাম পাকিস্তান)

ভারত বনাম পাকিস্তান (ম্যাচ ১৬) – হাইলাইটস

রবিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৬ তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তান। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপে পড়ে লড়াকু একটি পুঁজি দাড় করায় পাকিস্তান। সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যে পৌছায় ভারত। ফলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পাকিস্তানের। সেই সাথে ভারতের হয়ে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের খেতাব জিতে নিজের আগের ফর্মে ফিরে আসা বিরাট কোহলি।

ভারতীয় বোলাররা শুরু থেকেই পাকিস্তানি ব্যাটারদের চাপে রাখলেন। ব্যাটিংয়ে নেমে কখনই তেমন স্বস্তিতে ছিল না বাবর আজমের দল। তবে স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে জোড়া হাফসেঞ্চুরি উপহার দিলেন ইফতিখার আহমেদ আর শান মাসুদ।

ইফতিখার ঝড় তুলে ফিরলেন। শান মাসুদ দায়িত্ব নিয়ে খেললেন একদম শেষ ওভার পর্যন্ত। ফলে বিপদ কাটিয়ে ৮ উইকেটে ১৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান। 

মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শুরু থেকেই তাদের চেপে ধরেন ভুবনেশ্বর-অর্শদীপরা। একের পর এক বল মিস হতে থাকে। বারকয়েক হয় আবেদন।

প্রথম ওভারে পাকিস্তান তুলতে পারে মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তারা হারিয়ে বসে অধিনায়ককে। দলীয় ১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর ১৫ রানে দ্বিতীয় উইকেটেরও পতন ঘটে পাকিস্তানের। এবারও সেই অর্শদীপ সিং। ১২ বলে মাত্র ৪ রান করেন রিজওয়ান। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৩২ রান নিতে পেরেছিল পাকিস্তান।

এরপর উইকেট টিকিয়ে রেখে দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন শান মাসুদ আর ইফতিখার আহমেদ। তাড়াহুড়ো করেননি তারা। দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন একটু একটু করে। মাসুদ আর ইফতিখারের ৫০ বলে ৭৬ রানের তৃতীয় উইকেট জুটিটি শেষ পর্যন্ত ভাঙেন মোহাম্মদ শামি এলবিডব্লিউয়ে। ফিফটি করেই আউট হয়ে যান ইফতিখার। ৩৪ বলে গড়া তার ৫১ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা।

ইফতিখার ফেরার পর দ্রুত আরও কয়েকটি হারিয়ে বসে পাকিস্তান। শাদাব খান (৫), হায়দার আলি (২), মোহাম্মদ নওয়াজ (৯) আর আসিফ আলি (২) ফেরেন তাড়াহুড়ো করে। ২৯ রান তুলতেই ৫টি উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।

শেষদিকে লোয়ার অর্ডারের শাহিন শাহ আফ্রিদি ৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ১৬ আর হারিস রউফ ৪ বলে ১ ছক্কায় করেন ৬। শান মাসুদ ৪২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন।

ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া আর অর্শদীপ সিং। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন মোহম্মদ শামি ও ভুবনেশ্বর কুমার। 

একটি আদর্শ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সব উপকরণই ছিল এই ম্যাচে। দুর্দান্ত বোলিং, দুর্ধর্ষ ব্যাটিং, টানটান উত্তেজনা- সবকিছু ছাপিয়ে স্নায়ুক্ষয়ী শেষ ওভার। নাটকীয়তাপূর্ণ শেষ ওভারের একেবারে শেষ বলে গিয়ে পাকিস্তানকে হারালো ভারত।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতকে ১৬০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান। জয়ের জন্য ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়লেও ভারতকে টেনে তোলেন বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটের দুর্দান্ত এক জয় পেলো ভারত।

১৬০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর এক পর্যায়ে ৩১ রানে সেরা চার ব্যাটারকে হারিয়ে (লোকেশ রাহুল ৪, রোহিত শর্মা ৪, সূর্যকুমার যাদব ১৫, অক্ষর প্যাটেল ২) যখন ভারত ধুঁকতে শুরু করে, তখনই দক্ষ নাবিকের মত দলটির হাল ধরেন বিরাট কোহলি এবং হার্দিক পান্ডিয়া। বিরাট কোহলি বরাবরই পাকিস্তানের বিপক্ষে ভালো খেলেন। পাকিস্তানকে পেলে তার ব্যাট যেন আপনাতেই জ্বলে ওঠে। এই খেলায়ও তাই ঘটলো। হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ১১৩ রানের অবিশ্বাস্য এক জুটি গড়েন তিনি।

৫৩ বলে ৮২ রানে অপরাজিত থেকে যান কোহলি। ৬টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ৩৭ বলে ৪০ রান করে আউট হন হার্দিক পান্ডিয়া। ১টি বাউন্ডারি এবং ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। একই ওভারে আউট হন দিনেশ কার্তিক (১)। এছাড়া ১ রানে অপরাজিত থাকেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। শেষে ১১ রান এক্সট্রা সহ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। 


ভারত বনাম পাকিস্তান এর স্কোরবোর্ড

পাকিস্তান – ১৫৯/৮ (২০.০)

ভারত – ১৬০/৬ (২০.০) 

ফলাফল – ভারত ৪ উইকেটে জয়ী

প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – বিরাট কোহলি  


ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের একাদশ

ভারত রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), দিনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), কেএল রাহুল, সূর্যকুমার যাদব, বিরাট কোহলি, অক্ষর প্যাটেল, হার্দিক পান্ডিয়া, ভুবনেশ্বর কুমার, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, আরশদীপ সিং, মোহম্মদ শামি
পাকিস্তান বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), শাদাব খান, শান মাসুদ, ইফতিখার আহমেদ, হায়দার আলী, আসিফ আলী, মোহাম্মদ নওয়াজ, নাসিম শাহ, শাহীন আফ্রিদি, হারিস রউফ
Exit mobile version