ভারত – পাকিস্তান ম্যাচ মানেই হাই ভোল্টেজ ম্যাচ। তবে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে শুধুমাত্র আইসিসির আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট ছাড়া এই দুই পরাশক্তি মুখোমুখি হয় না। নানা কারণে দুই দেশের ক্রিকেটের মধ্যে বাকযুদ্ধ লেগেই থাকে। আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়েও দুই দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধ চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এশিয়া কাপ নিয়ে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের কথা বলেছিলেন পাকিস্তান বোর্ডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রমিজ রাজা। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়ে এবার সুর নরম করলেন বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
আসন্ন এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। তবে এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ কোনো দেশে হোক এমনটা চান ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ। এর পাল্টা জবাব হিসেবে রমিজ রাজা বলেছিলেন ভারতে অনুষ্ঠিত একদিনের বিশ্বকাপ বয়কট করবে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান প্রধান নাজাম শেঠি এবার সংঘাত না করে আলোচনায় বসতে চাইছেন জয়ের সঙ্গে। তিনি চান, যে করে হোক এশিয়া কাপ পাকিস্তানেই অনুষ্ঠিত হয়।
পাকিস্তান ক্রিকেটের সাবেক এক অধিনায়ক পাকিস্তানের গণমাধ্যমকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানেই যাতে এশিয়া কাপ হয় সেই বিষয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছ থেকে অনুমতি নিতে তৎপর শেঠি। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক টি – টোয়েন্টি লিগের উদ্বোধনে যদি বিসিসিআই সচিব জয় শাহ আসেন তাহলে তার সঙ্গে কথাও বলতে চান তিনি। এশিয়া কাপের সূচি অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত – পাকিস্তান । কিন্তু এশিয়া কাপের ভেন্যু পাকিস্তান হওয়ায় আর সেখানে ভারত যেতে না চাওয়ায় এশিয়া কাপ হওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।
এদিকে সম্প্রতি এশিয়া কাপের সূচি প্রকাশিত হলে সেখানেও জয়কে খোঁচা দেন শেঠি। জয় শাহ একতরফা সূচি প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। সূচি নিয়ে শেঠি বলেন ” আমি রাগান্বিত না, তবে বিভ্রান্ত। তারা আমাদের একটা ফোন দিতে পারত, আলাপ করতে পারত। একতরফাভাবে এটা করা ভালো না, যখন এর জন্য একটি কাউন্সিল আছে। “৷ এদিকে শেঠির এমন অভিযোগ উড়িয়ে দেয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব পদের পাশাপাশি জয় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের প্রধানও। সূচি নিয়ে শেঠির করা মন্তব্যের পর জয় কিছু না বললেও ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফ থেকে এক বার্তায় শেঠির করা মন্তব্যকে ভিত্তিহীন বলা হয়। এখন প্রশ্ন উঠছে জয় শাহ কী নাজাম শেঠির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন? যদিও বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ধারনা করা হচ্ছে, ভারত – পাকিস্তানের উত্তেজনা কমাতেই জয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে না যেয়ে সমাধান খুজতেই আলোচনায় বসতে চান শেঠি। তবে শেঠির ডাকে জয় সাড়া দেবেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।