আইসিসি মেনস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১ এর পরপরই ব্যস্ত সূচির মধ্য দিয়ে যাবে ভারত। আইপিএল ২০২২ ব্যতীত, নভেম্বর ২০২১ থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত আট মাসের মধ্যে ভারত ক্রিকেট দল ছয়টি টেস্ট, নয়টি ওয়ানডে এবং ২১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
আইসিসি মেনস টি20 বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার দু’দিন পরে, ১৭ই নভেম্বর থেকে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি টি20 এবং ২টি টেস্ট খেলবে ভারত। যেখানে পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনটি টি-টোয়েন্টি এবং মাঝখানে তিন দিন বিশ্রাম নিয়ে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে তাঁরা, যা শেষ হবে ০৭ই ডিসেম্বর।
এরপর আগামী ১৭ই ডিসেম্বর ২০২১ থেকে ২৬শে জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে থাকবে ভারত। সেখানে তিনটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং চারটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে তাঁরা। প্রতিটি টেস্ট ম্যাচ মাত্র চারদিন অন্তর অন্তর বিশ্রামের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনটি ওয়ানডে ছয় দিনের ব্যবধানে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি মাত্র আট দিনে অনুষ্ঠিত হবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে ভারত যা ৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৫শে ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে ভারত আসবে, যা শেষ হবে ১৮ই মার্চ।
সৌভাগ্যবশত ভারত পরবর্তী সিরিজটি প্রায় দুই মাস পর ঘরের মাটিতে আগামী জুন মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলবে। তবে মাঝের এই দু’মাস খেলোয়াড়রা আইপিএল ২০২২ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করবেন। টুর্নামেন্টে এইবার দশটি ফ্র্যাঞ্চাইজি থাকবে এবং দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়রা সেখানে কমপক্ষে ১৮টি করে ম্যাচ খেলবে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৯ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ভারতে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে। এর ১২দিন পর, ভারত সফরকারী শিবিরে কোভিড-19 প্রাদুর্ভাবের কারণে এই বছর বাতিল হওয়া পঞ্চম টেস্ট খেলতে ইংল্যান্ডে যাবে ভারত। সেই সাথে সফরটি আরও ১২ দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে, এবং তিনটি ওয়ানডে এবং ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ যুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে ভারতের নিয়মিত খেলোয়াড়রা গত বছর থেকে অবিরাম খেলে যাচ্ছেন। এসব খেলোয়াড়রা ব্যস্ত সূচির কারণে খুবই কম বিশ্রাম পাচ্ছে। এছাড়া এখন সিরিজ শুরুর পূর্বে কোভিড-19 বিধিনিষেধ এবং খেলোয়াড়দের বায়ো-বাবলের মধ্য দিয়ে যাওয়া সব মিলিয়ে এই ব্যস্ত সূচিটিকে প্রায় অমানবিক করে তুলেছে।
বিদায়ী কোচ রবি শাস্ত্রী বলেছেন যে ২০২১ এর সময়সূচী খেলোয়াড়দের ‘শারীরিক ও মানসিকভাবে নিষ্ক্রিয়’ রেখেছিল। তবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে বিসিসিআইকে ইসিবির মত আলাদা ফরম্যাটের জন্য আলাদা দল গঠনের কৌশল গ্রহণ করতে হবে। ভারতীয় দলের পাইপ লাইনে পর্যাপ্ত প্রতিভা রয়েছে যা চাইলেই ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটে আলাদা আলাদা দল গঠন করা সম্ভব।
বোর্ডের উচিত খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো এবং যারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবার থেকে দূরে রয়েছেন তাদেরকে বিশ্রামে পাঠানো। ফলে তাঁরা আরও ভালো পারফর্ম করতে পারবে। অন্যথায়, আগামী প্রজন্মের প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটাররা সুযোগের অভাবে অকালে ঝড়ে পড়বে এবং তা ভারতীয় ক্রিকেট দলকে পতনের দিকে ধাবিত করতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে।
টানা সিরিজ খেলার পর খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখার বিষয় হবে আকর্ষণীয়। বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটের আরও আপডেটের জন্য, Baji –র সাথেই থাকুন!