২০২০ সালে বাংলাদেশের অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ঘরে তোলার অন্যতম দুই নায়ক মাহমুদুল হাসান জয় এবং শরিফুল ইসলাম। ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন জয়। অপরদিকে শরিফুল ছিলেন বোলিংয়ে প্রধান অস্ত্র। যুব বিশ্বকাপ থেকেই তারকা খ্যাতি পাওয়া শুরু করেছেন তারা। বিশ্বকাপজয়ী সেই দলের প্রধান কোচ নাভিদ নেওয়াজের মতে, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কিংবদন্তি হবেন জয় এবং শরিফুল।
ইতোমধ্যেই জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী এই দুই ক্রিকেটার। বিশ্ব ক্রিকেটে লাল সবুজের হয়ে বুকচিতিয়ে লড়াই করার মিশনে আছেন তারা। শরিফুল খেলছেন তিন সংস্করণেই। সাদা বলের পাশাপাশি, লাল বলের ক্রিকেটেও দিনদিন অপরিহার্য হয়ে উঠছেন বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলার। শরিফুলের বোলিং দেখে বলার অপেক্ষা রাখে না, টাইগার ক্রিকেটে লম্বা রেসের ঘোড়া হতে চলেছেন তিনি।
জয়ের কাঁধেও চেপেছে গুরু দায়িত্ব। দীর্ঘদিন তামিম ইকবালের যোগ্য সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এবার ওপেনিংয়ে নির্বাচকদের সেই দুশ্চিন্তা দূর করেছেন জয়। সম্প্রতি সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। দেশের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ৪ টেস্ট খেলে ১ সেঞ্চুরি এবং ১ ফিফটিতে ২২৫ রান করেছেন তিনি।
বর্তমান বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই সদস্যের প্রশংসা করেছেন নাভিদ। তিনি বলেছেন, ‘যেকোনো পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তাদের (জয় এবং শরিফুল) যথেষ্ট দক্ষতা আছে। আমি থাকা বা না থাকায় কিছু যায় আসে না। তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছে। ভবিষ্যতেও বিভিন্ন দেশে গিয়ে মানিয়ে নিতে হবে তাদের। আশা করি, তারা একদিন বাংলাদেশ ক্রিকেটের কিংবদন্তি হবে।’
এদিকে বেশ কয়েক বছর পর শ্রীলংকা জাতীয় দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব পেলেন বাংলাদেশ যুব দলের সাবেক প্রধান কোচ। বাংলাদেশে কাজ করার সময়টা বেশ উপভোগ করেছেন বলে জানিয়েছেন নাভিদ। একইসাথে দীর্ঘ ৪ বছর পর দেশে ফিরতে পেরে বেশ আনন্দিত এই লংকান কোচ।
এ প্রসঙ্গে নাভিদ বলেছেন, দেশে ফিরতে পারাটা আমার জন্য ভালো ব্যাপার। বাংলাদেশে কাটানো দীর্ঘ ৪ বছর আমি দারুণভাবে উপভোগ করেছি। আমার মনে হয় বাংলাদেশকে কিছু একটা দেওয়ার মতো সামর্থ্য আমার ছিল। তবে আবারও নিজের ঘরে ফিরতে পেরে আমি খুশি।’