বার্মিংহামের এজবাস্টনে চলছে ভারত ও ইংল্যান্ডের বাতিল হয়ে যাওয়া টেস্ট ম্যাচটি। ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে এজবাস্টন টেস্ট। মাঝে বৃষ্টি বাগড়া দিলেও উত্তাপ যেন থামছেই না। বৃষ্টিতে আবহাওয়া ঠান্ডা হলেও এজবাস্টনের আবহাওয়া আরো উত্তাপ ছড়াচ্ছে। আসল ঘটনা হচ্ছে, তৃতীয় দিনের খেলা চলাকালীন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির স্লেজিংয়ের মুখে পড়তে হয় ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটাসম্যান জনি বেয়ারস্টোকে। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই আঁচ করা যায় কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল এজবাস্টনে।
কিউইদের বিপক্ষে দুরন্ত থাকা বেয়ারস্টো উইকেটে এসে ভারতীয় পেসারদের সামলাতে খানিকটা বেগ পেতে হচ্ছিল। ঠিক তখনই, বেয়ারস্টোকে আরো চাপে ফেলতে মাইন্ড গেম শুরু করেন কোহলি৷ আসল ঘটনা তৃতীয় দিনের ৩৩তম ওভারে। এসময় কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন বেয়ারস্টো ও কোহলি।
এক পর্যায়ে ইংলিশ ব্যাটারকে ভারতের সাবেক অধিনায়ক ‘চুপচাপ ব্যাটিং কর’ বলেও ধমক মারেন। দুজনের বাদানুবাদ থামাতে মাঠের আম্পায়ারদেরও এগিয়ে আসতে হয়। এসময় ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসও দুজনকে শান্ত থাকার জন্যে অনুরোধ করে।
কোহলির এমন কান্ডে যেন আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেন বেয়ারস্টো। প্রথমে ৬০ বলে মাত্র ১৩ সংগ্রহ করেন এই ক্রিকেটার। এরপর যেন সিংহের মতো হিংস্র রূপ ধারণ করেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। ৬০ বলে ১৩ রান থেকে অর্ধশতক পূরণ করেন ৮১ বলেই। এরপর সামি-বুমরাদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে বেদড়ক পেটানো শুরু করেন বেয়ারস্টো। ১১৯ বলেই তুলে নেন নিজের ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
বেয়ারস্টোকে স্লেজিং করা নিয়ে কোহলিকে খোঁচা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক টুইট করেছেন ভারতের সাবেক বিধ্বংসী ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ। সেখানে তিনি লিখেন, ‘কোহলির স্লেজিংয়ের আগে জনি বেয়ারস্টোর স্ট্রাইক রেট ছিল ২১। আর স্লেজিংয়ের পর স্ট্রাইক রেট গিয়ে দাঁড়াল ১৫০। পূজারার মতো খেলছিল বেয়ারস্টো, স্লেজিং করে কোহলি ওকে পন্থের মতো বানিয়ে দিল।’