পাকিস্তান ক্রিকেটে বর্তমান সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। একে তো দলের ভরাডুবি, এরমধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারনে আবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) ব্যাপক রদবদল। সভাপতি থেকে নির্বাচক, সবখানেই নতুনত্ব এনেছে তারা। এসব আলোচনা – সমালোচনার মাঝেই শুভ কাজটি সেরে ফেললেন হারিস রউফ। ২৪ ডিসেম্বর মুনজা মাসুদ মালিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন পাকিস্তানি পেসার।
দেশটির রাজধানী ইসলামাবাদে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে রউফের বিয়ে। তার বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সতীর্থ, বোর্ড কর্তা এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। নতুন জীবনের পথচলায় সতীর্থদের শুভেচ্ছা বাণী এবং শুভকামনাও পেয়েছেন তিনি। জানা গেছে, রউফের স্ত্রী তার একসময়কার সহপাঠী। পেশায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং মডেল।
এদিকে ব্যক্তিগত জীবনে আনন্দের জোয়ারে ভাসলেও পেশাদার ক্রিকেট জগতে রউফের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। পেসারদের আজীবন শত্রু চোট, ভোগাচ্ছে পাকিস্তানি পেসারকেও। যে কারণে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া, ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও খেলা হচ্ছে না তার। শারীরিকভাবে ফিট না থাকায়, ২৯ বছর বয়সী রউফকে এই সিরিজের স্কোয়াডের জন্য বিবেচনা করেনি পিসিবি।
আপাতত নতুন বউ আর নতুন জীবন উপভোগ করার সময় হলেও, মাঠে ফেরাটাও বেশ জরুরী মনে করছেন স্বয়ং রউফ। তবে কবে নাগাত তিনি সুস্থ হয়ে ওঠবেন, সেই বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। পিসিবির পক্ষ থেকেও এই পেসারের চোট নিয়ে কোনো ধরনের তথ্য জানানো হয়নি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই চোট সারিয়ে মাঠে ফিরবেন রউফ।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখেন রউফ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি দিয়ে। এরপর খেলেছেন ৫৭টি টি–টোয়েন্টি, ১৫টি ওয়ানডে এবং ১টি টেস্ট। যেখানে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ১০২টি উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি পেসার। বর্তমানে পাকিস্তান দলের পেস আক্রমণের অন্যতম কান্ডারিও ভাবা হচ্ছে তাকে।