বহু তরুনীর হৃদয় ভেঙ্গে অবশেষে দাম্পত্য জীবনে পা দিলেন পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটার শান মাসুদ। গত শনিবার পেশোয়ারে কনে নিশে খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার। মহা ধুমধামের মধ্যে দিয়ে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। দীর্ঘদিনের প্রেমকে পরিনতিতে রুপ দিয়ে প্রেমিকার সঙ্গেই গাটছড়া বাধলেন তিনি। বিয়েতে স্ত্রীর পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে সাদা রঙ্গের শেরওয়ানি পড়তে দেখা যায় শান মাসুদকে।বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক – বর্তমান তারকা ক্রিকেটাররা।
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি, পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক বাবর আজম, অলরাউন্ডার শাদাব খানের মতো ক্রিকেটাররা ছিলেন বিয়ের অনুষ্ঠানে।এছাড়া ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনরাও উপস্থিত ছিল পাকিস্তানি এই ক্রিকেটারের বিয়েতে। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরেই চলছে এই বিয়ের অনুষ্ঠান। শেষ পর্যন্ত ২১ জানুয়ারি চার হাত এক হয় তাদের। বিয়ের পরে আবার ২৭ জানুয়ারি করাচিতে বিবাহোত্তর সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে বরের বাড়িতে। সেখানেও উপস্থিত থাকবেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররাসহ ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীস্বজন।
১৯৮৯ সালের ১৪ অক্টোবর কুয়েতে জন্মগ্রহণ করেন শান মাসুদ। ৩২ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার পাকিস্তানের জার্সিতে এ পর্যন্ত খেলেছেন ২৭ টেস্ট, ৫ একদিনের ক্রিকেট এবং ১৯ টি টি – টোয়েন্টি ম্যাচ। ২০২২ সালের টি – টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান জাতীয় দলের একজন সদস্যও ছিলেন শান মাসুদ। চলতি বছর ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে চুক্তিও করেছেন তিনি। ইয়র্কশায়ারের সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছেন শান মাসুদ। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটের মধ্যে টেস্টে তার অভিষেক ২০১৩ সালে হলেও বাকি দুই ফরম্যাটে অভিষেক হয় অনেক পরে।
২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে শুরু করেন তিনি তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার । এরপর ২০১৯ সালে একদিনের ক্রিকেটে এবং ২০২২ সালে টি – টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে এ পর্যন্ত তিনি ২ হাজারেরও বেশি রান করেছেন। গত এশিয়া কাপে ফখর জামানের ধারাবাহিক ব্যর্থতা এবং শেষ পর্যন্ত চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়া কপাল খুলে দেয় মাসুদের। শেষ পর্যন্ত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেন তিনি।
মাসুদের জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছিলো তার বোনের মৃত্যু। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন তার বোনের মৃত্যু তার জীবনের অনেক দর্শনই পালটে দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে তিনি বলেন ” বোনের মৃত্যুর পর আমার জীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সবকিছু ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করেছি। নিজের দেশের হয়ে খেলেতে পারা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ এবং গর্বের ব্যাপার। ক্রিকেট জীবনের একটি অংশ মাত্র, তবে পরিবার এর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ “। বিয়ের আগেই মাসুদ জানিয়েছেন তিনি এখন ক্রিকেট নিয়েই ভাবছেন। দেশকে অনেক কিছুই দিতে চান তিনি। দেখার যাক বিয়ের পর স্ত্রী ভাগ্য কতোটা সফলতা বয়ে আনে মাসুদের জীবনে। বিয়ের পর মাসুদকে তার নতুন জীবনের জন্য অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।